ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

‘বাকশালকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছিল ছাত্র ইউনিয়ন’

‘বাকশালকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছিল ছাত্র ইউনিয়ন’

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, ছায়া প্রশাসনের অভিযোগ তোলা মানে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করা। নিজেদের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ ঢাকার জন্য তারা এই জিনিসটাকে ন্যারেটিভ দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছে। ঢাবি ছাত্রশিবিরের পক্ষে যায় এমন কোনো সিদ্ধান্ত প্রশাসন গ্রহণ করেনি। বরং ছাত্রশিবিরকে কোণঠাসা করার জন্য বাম, যারা আওয়ামী লীগের দোসর ছিল, যে ছাত্র ইউনিয়ন বাকশালকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেছিল তাদের পক্ষে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হাফেজে কুরআন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ সব কথা বলেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের গগন হরকরা গ্যালারিতে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবির। এ অনুষ্ঠানে ৩২৭ জন কুরআনের হাফেজকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এসময় তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের পরে আমরা যখন আন্দোলন করেছি, তখন আমাদের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই বাম ছাত্র সংগঠন এবং বাম দলগুলো একজোট হয়ে আমাদের আন্দোলনকে জঙ্গি ও দেশদ্রোহী আচরণ বলে আখ্যায়িত করেছে। অথচ ২০১৪ সালের পাতানো নির্বাচনের বিরুদ্ধে আমরা তখন রাস্তায় নেমেছিলাম। আমরা দেখেছি এরা আবার লাল সন্ত্রাসের ডাক দিয়েছে, বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করছে। পাঁচ আগস্টের পরে বাংলাদেশের কোনো ক্যাম্পাসে তাদের গঠনমূলক কোনো কাজ দেখবেন না। শুধু দেখবেন দোষ ধরা, নিজেরা কোনো কাজ করবে না শুধু অন্যের দোষ ধরবে। তাদের মধ্যে একটা মবক্রেসি প্রবণতা আমরা দেখেছি যা তারা স্বীকারও করেছে। তারা বলছে, আমরা ১০ জন মিলে যে পরিমাণে গ্যাঞ্জাম করতে পারি, ১০০০ লোক না ১০,০০০ লোক এত গ্যাঞ্জাম করতে পারবে না। তাদের দলটাই এখন বাংলাদেশে এক্সিস্ট করে শুধু গ্যাঞ্জাম আর মব ক্রিয়েট করার জন্য।

শাপলা গণহত্যার পরে এটাকে তারা জাস্টিফাই করার চেষ্টা করছে। যারা গণহত্যার শিকার হয়েছে, শহিদ হয়েছে তাদের এগেইনস্টে গিয়ে জঙ্গিদেরকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্ট্যাটাস দিয়েছে বামরা। তারা অস্পষ্ট এবং অসত্য কথাগুলো বলে তাদের বক্তব্য শুরু করে এবং একেবারে কবিতার মতো তারা এগুলো পাঠ করে যায়। তাদের নিজস্ব কোনো অ্যাজেন্ডা নাই। আট মিনিট কথা বললে সাত মিনিটই বলবে ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিয়ে। ছাত্রশিবির তো নিজস্ব অ্যাজেন্ডা আছে, নিজস্ব অ্যাজেন্ডা নিয়ে তারা কাজ করে। ইসলামী ছাত্রশিবির প্রশাসনের কাছ থেকে কোনো ফেভার চায় না।

শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল ইসলামের নেতৃত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, ইবির সিন্ডিকেট সদস্য ড. আব্দুল মান্নান, আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল বারীসহ কয়েকশো শিক্ষার্থী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত