ভোলার চরফ্যাশনে সাইফুল ইসলাম নামের এক সাংবাদিককে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে চরফ্যাশন পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সবুজের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার সকালে চরফ্যাশন পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাংবাদিক সাইফুল ইসলামের বসতবাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদের সামনে প্রকাশ্য হত্যার হুমকির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম গত মঙ্গলবার রাতে চরফ্যাশন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিক চরফ্যাশন রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলা পত্রিকার চরফ্যাশন উপজেলা প্রতিনিধি। সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকলীগ নেতা সবুজের স্ত্রী একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি তার স্ত্রী শ্রেণিকক্ষে দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাসে তার শিশু কন্যাকে টেবিলে বসিয়ে বাকবাকুম পায়রা কবিতা পড়িয়ে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।
ওই ভিডিও তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে পোস্ট করে ক্যাপশন লিখেন ‘ম্যাডাম যখন দ্বিতীয় শ্রেণির ইংরেজি ক্লাসে বাকবাকুম পায়রা কবিতা শেখায়’ -এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এঘটনা নিয়ে একাধিক জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। আমি তার প্রতিবেশি হওয়ায় তার স্ত্রীকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশে আমার ইন্দন রয়েছে, এমন অভিযোগ তুলে সে আমার সঙ্গে বিরোধ শুরু করেন। এ নিয়ে শ্রমিকলীগ নেতা সবুজ আমার ওপরে ক্ষিপ্ত হন। আমাকে একাধিকবার মামলায় হয়রানির হুমকি দেন। ফের গত মঙ্গলবার সকালে শ্রমিকলীগ নেতা আমার প্রতিবেশী হওয়ায় তার সঙ্গে মসজিদের সামনে দেখা হয়। তার স্ত্রীকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশ নিয়ে তর্ক হয়। ওই তর্কের জেরে এলাকার মানুষের সামনে প্রকাশ্যে আমাকে ও আমার বাবাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দাদের তোপে মুখে তিনি ওই স্থান থেকে পালিয়ে যান।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ওই শ্রমিকলীগ নেতা আমাকে ইতিপূর্বেও একধিকবার হত্যার হুমকি দিয়েছেন। কিন্তু ফের আমাকে পুড়িয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ায় আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এ ঘটনায় আমি আইনি সহায়তা চেয়ে চরফ্যাশন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। অভিযুক্ত শ্রমিকলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সবুজ হুমকির বিষয় অস্বীকার করে জানান, তাদের সঙ্গেআমার কোনো বিরোধ নেই। তাকে হুমকি কেন দেব।
চরফ্যাশন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, হুমকির ঘটনায় সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
