
গভর্নর ভালভ স্টিম সেন্সরের চারটি টারবাইন নষ্ট হওয়ায় পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। তৃতীয় ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়পুকুরিয়া ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গভর্নর ভালভ স্টিম সেন্সরের চারটি টারবাইন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে।
বর্তমানে ১২৫ মেগাওয়াট ১ নম্বর ইউনিট থেকে উৎপাদিত ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিড সরবরাহ করা হচ্ছে। ১ নম্বর ইউনিটটি চালু রাখতে ৮০০ টন কয়লার প্রয়োজন পড়ছে।
বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তৃতীয় ইউনিট থেকে প্রতিদিন উৎপাদিত ১৬০ থেকে ১৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হতো। তৃতীয় ইউনিটটি চালু রাখতে দৈনিক ১ হাজার ৬০০ টন কয়লা লাগত। এই তৃতীয় ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পার্বতীপুর উপজেলাসহ উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় বিদ্যুৎ লোডশেডিং শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১২৫ মেগাওয়াট ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কারকাজ চলায় ৪ বছর ৮ মাস ধরে ২ নম্বর ইউনিটে উৎপাদন এখনও বন্ধ।
তিনি আরও বলেন, ২ নম্বর ইউনিট ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও ৬৫-৭০ মেগাওয়াট উৎপাদন করতে সক্ষম হতো। কেন্দ্রের ৩টি ইউনিট চালু রেখে স্বাভাবিক উৎপাদনের জন্য দৈনিক প্রায় ৫ হাজার ২০০ টন কয়লার প্রয়োজন পড়ে। কেন্দ্রের ৩টি ইউনিট ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও আজ পর্যন্ত একইসঙ্গে কখনও চালাতে পারেনি। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কোল ইয়ার্ডে প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার টন কয়লা মজুত রয়েছে। প্রতিদিন কয়লা খনি থেকে উত্তোলনকৃত ৩ হাজার টন কয়লা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সরবরাহ করা হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির সরবরাহকৃত কয়লার ওপর নির্ভর করে ৫২৫ মেগাওয়াট বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
গতকাল শনিবার বিকালে যোগাযোগ করা হলে বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বর্তমানে কেন্দ্রর তৃতীয় ইউনিটটি মেরামত কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি এক সপ্তাহের পর তৃতীয় ইউনিটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে ফিরবে। এরইমধ্যে আমরা চায়নার সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।