কক্সবাজারে ভ্রমণে আসা টাঙ্গাইলের এক পর্যটককে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় উদ্ধার করা হয়েছে ১০টি মোবাইল ফোন ও একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে। গতকাল সোমবার কক্সবাজার জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, গ্রেপ্তার ৫ জনই পেশাদার ছিনতাইকারি। গ্রেপ্তাররা হলো- কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ডিককুল এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে মো. বাবুল, পৌরসভার চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার মো. সেলিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম, নতুন বাহারছড়ার ফজল করিমের ছেলে মো. সোহেল, কলাতলী এলাকার কালা পুতুর ছেলে মো. সিদ্দিক প্রকাশ কানাইয়া, টেকপাড়া এলাকার সরোয়ারের ছেলে ইমরান সরোয়ার ইমন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস জানান, গত রোববার বিকালে কক্সবাজারের কলাতলীর সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এলাকায় কয়েকজন ছিনতাইকারী সিএনজি যোগে এসে টাঙ্গাইলের এক পর্যটক সাইফুল্লাহকে ছুরিকাঘাত করে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি কক্সবাজার জেলা পুলিশের নজরে আসলে তৎক্ষণিকভাবে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের একটি আভিযানিক দল কক্সবাজার সদর থানার একাধিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত ছিনতাই চক্রের পাঁচজন পেশাদার ছিনতাইকরীকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে ১০টি মোবাইল ও ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত ১টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় ৫ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার নিয়ে ব্রিফ্রিং করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহমেদ পেয়ার বলেন, একজন পর্যটক ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ কর্মকর্তা আহমেদ পেয়ার আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ছিনতাইসহ অপরাধ রোধে কক্সবাজার শহরে দিনে ৩টি ও রাতে ৪টি টহলদল কাজ করছে। তিনি সবার সহযোগীতা কামনা করেন।
