
নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় শিশু সন্তানদের সামনে বিচারপ্রার্থী বাবা ও মাকে মারধরের ঘটনায় মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখায়াত হোসেনসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। হামলার শিকার রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান, সাত্তারের ছেলে ইসমাইল, হিরন, শাহালম, টিটু, রাসেল ব্যাপারি, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট আল আমিন, অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেন এবং অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার। এ বিষয়ে মামলার বাদী রাজিয়া সুলতানা জানান, আমরা থানা থেকে মামলার কপি সংগ্রহ করেছি। বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) জসিম উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে মামলার বাদী রাজিয়া সুলনার স্বামী ইরফান মিয়া গত রোববার একটি মামলার শুনানিতে অংশ নিতে আদালতে গেলে তার ওপর হামলা চালান সাখাওয়াত হোসেন খানের জুনিয়র আইনজীবী ও মুহুরি। এতে আহত হন মো. ইরফান মিয়া, তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা ও তদের দুই সন্তান। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। রাতেই রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেনসহ নয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তবে মামলা করতে গেলে এজাহারে আপত্তি জানায় পুলিশ।
পরে রাত ২টার দিকে ফতুল্লা থানা গেটের সামনে শিশুসন্তানকে নিয়ে বসে কান্নাকাটি করতে থাকেন রাজিয়া সুলতানা। এ সময় তিনি বলতে থাকেন, ‘নারায়ণগঞ্জের এসপি, সার্কেল এসপি, ওসি কেউ আমার মামলা নেয় নাই। এখানে কেউ আসবেন না, এখানে কোনো বিচার নাই। মামলা না নেওয়া পর্যন্ত আমি থানার গেইট থেকে যাব না’। এক পর্যায়ে পুলিশ রাজিয়া সুলতানার অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করতে বাধ্য হয়।
এ দিকে হামলার ঘটনার সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে ক্লিন ইমেজ নষ্ট করতে এই ষঢ়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।