
রংপুরের তারাগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক যোগেশ চন্দ্র রায় (৭২) এবং তার স্ত্রী সুর্বণা রায়কে (৬৫) নৃশংসভাবে হত্যায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের শেরমস্ত বালাপাড়া এলাকা থেকে মোরছালিন (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার মোরছালিন হত্যার মাত্র দুই দিন আগে যোগেশ চন্দ্র রায়ের বাড়িতে টাইলস লাগানোর কাজ করেছিলেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকাণ্ডে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গ্রেপ্তার মোরছালিনকে নিয়ে পুলিশ কুর্শা ইউনিয়নের রহিমাপুর গ্রামে যোগেশ চন্দ্রের বাড়ির পাশে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়। তারাগঞ্জ থানার ওসি রুহুল আমিন আমিন বলেন, আমরা এরইমধ্যে বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করেছি। আজ অস্ত্র উদ্ধার হলো, মামলার তদন্তে বড় অগ্রগতি আসবে। গত শনিবার গভীর রাতে রহিমাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে ও মাথায় আঘাত করে যোগেশ চন্দ্র রায় ও সুর্বণা রায়কে হত্যা করা হয়। রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে বাড়িতে ঢুকে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। এ ঘটনায় নিহতের বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে তারাগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।