ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সিরাজদিখানে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোতে পারাপার

সিরাজদিখানে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোতে পারাপার

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের পশ্চিম ব্রজেরহাটি গাজিপাড়া এলাকায় যাতায়াতের একমাত্র ভরসা একটি বাঁশের সাকো। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকার শতাধিক পরিবার এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাকো দিয়েই প্রতিনিয়ত চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে নিত্যদিনই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের।

সরেজমিনে দেখা যায়, গাজিপাড়া এলাকার ছোট-বড় সকলেই জুমার নামাজ আদায়ের পর এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাকো দিয়েই পার হচ্ছেন। এতে করে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে । নামাজ শেষে মুসল্লিদের একসঙ্গে পারাপার হওয়ায় সাকোটি দুলতে থাকে আর তখনই পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। মুসল্লিরা বলেন, জুম্মার নামাজে অনেক লোক হয়। সবাই যখন একসঙ্গে সাকো দিয়ে পার হয় তখন মনে হয় যেকোনো সময় ভেঙে পড়বে। আমরা ভয় নিয়ে চলাচল করি। দীর্ঘদিন ধরে এই ভোগান্তি চললেও বিষয়টি সমাধানে কারও নজর নেই। বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সকলকে প্রতিদিনই এই ঝুঁকি মাথায় নিয়ে চলাচল করতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. রবিন বলেন, গ্রামের দুই পাশে শতাধিক পরিবারের বাস। এই সাকো দিয়ে প্রতিদিন ছোট বড় প্রায় ৫ শতাধিক মানুষের যাতায়াত। শুষ্ক মৌসুমে চলাচলের জন্য বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা গেলেও। বর্ষা মৌসুমে এই সাঁকো’র বিকল্প নাই। বর্ষা মৌসুমে সাকোটি আরও নড়বড়ে হয়ে পড়ে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পিচ্ছিল হয়ে পড়ে। এতে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কৃষক, শ্রমজীবীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে। স্থানীয়রা বলেন,বছরের পর বছর ধরে আমরা এই শাকো দিয়েই চলাচল করছি। একবার বৃষ্টি হলে হাঁটাই কঠিন হয়ে যায়। অনেকেই পড়ে গিয়ে হাত-পা ভেঙেছেন।শিশুদের স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগে। যেকোনো সময় নিচে পড়ে যেতে পারে।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা স্থায়ী সমাধানের কোনো উদ্যোগ নেয়নি এখন পর্যন্ত । সাকোটি নষ্ট হলে এলাকাবাসীকেই নিজেদের অর্থ দিয়ে মেরামত করতে হয়। এলাকাবাসী দ্রুত এই বাঁশের সাকোর পরিবর্তে একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে বলেন সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিষয়টি বিবেচনা করে এখানে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণ করে দিলে এই এলাকার জনসাধারণ চলাচল করতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত