
টাঙ্গাইলে ২৪ ঘণ্টায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশ। গত মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ১২টা থেকে বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলার ১২টি উপজেলার ১৩টি থানার পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা সবাই বিভিন্ন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি এবং কার্যক্রম নিষিদ্ধ আ.লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের পদধারী নেতাকর্মী।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নাগরপুর উপজেলার আমজাদ হোসেন, মির্জাপুরের ফেরদৌস আলম পাহাড়ি, দেলদুয়ারে ফজলুল হক, ঘাটাইলে আব্দুল হোসেন ও রাসেল, সখীপুরের ওয়াদুদ রহমান শাহীন ও হাকিম তালুকদার, ধনবাড়ীতে হৃদয় আহমেদ, কালিহাতীতে শামীম, ভূঞাপুরে তাহসিন হোসেন আলিফ, কালিহাতীর যমুনা সেতু পূর্ব থানার তপু মন্ডল, মধুপুরের জুয়েল, বাসাইল উপজেলার রিপন মিয়া, গোপালপুরের মিনহাজ মিয়া এবং টাঙ্গাইল সদর উপজেলার শরিফ হোসেন, নাসির উদ্দিন, সৈয়দ তানিয়া ইসলাম সুইটি ও তারিফুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার, সংশোধন) আইন-২০১৯, দ্য পেনাল কোড ১৮৬০ সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ এবং দ্য এক্সপ্লোসিভ সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট-১৯০৮ এর বিভিন্ন ধারায় একাধিক মামলা রয়েছে। মামলাগুলোতে সংঘবদ্ধ সহিংসতা, হামলা, মারধর, গুরুতর জখম, হত্যা চেষ্টা, ভয়-ভীতি প্রর্দশন, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক দ্রব্য সংক্রান্ত অপরাধসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ ও গণভোট অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা পরিস্থিতি ঘোলাটের পাঁয়তারা করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলার এজাহারভুক্ত আসামি থাকায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ তৎপর।