
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার উফাপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে মেছোবাঘ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার গভীর রাতে ওই গ্রামের আলমগীর হোসেন সরদারের বাড়িতে মেছোবাঘটি ফাঁদে আটকা পড়ে। পরে বন বিভাগের সহযোগিতায় মেছোবাঘটি পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে অবমুক্ত করা হয়। বাড়ির মালিক আলমগীর হোসেন আমিন জানান, তাদের বাড়িসহ গ্রামের বিভিন্ন বাড়ি থেকে রাতে প্রায়ই হাঁস-মুরগি নিখোঁজ হচ্ছিল। তারা ধারণা করেছিলেন, শেয়াল এসব নিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে গত শনিবার রাতে মুরগির খোঁয়াড়ের পাশে একটি বড় ফাঁদ পেতে রাখা হয়। ভোররাতে শব্দ পেয়ে বাইরে বের হয়ে তারা ফাঁদের ভেতরে একটি মেছোবাঘ দেখতে পান। পরে প্রতিবেশীদের খবর দিলে সবাই মিলে বাঘটিকে আটকে রাখেন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গ্রামে হাঁস-মুরগি নিখোঁজ হলেও কোনো প্রাণি তা নিয়ে যাচ্ছিল তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছিল না। মেছোবাঘটি আটকের পর এটি নিশ্চিত হওয়া যায়। এদিকে, এঘটনায় গ্রামবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এতদিনে বাঘটি কোনো মানুষের ক্ষতি করেনি। মেছোবাঘ আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে সেটি দেখতে আশপাশের গ্রাম থেকে শত শত মানুষ আলমগীর হোসেনের বাড়িতে ভিড় করেন। স্থানীয় বাজার কমিটির সভাপতি ও বিএনপি নেতা ডা. আব্দুল মজিদ জানান, মেছোবাঘ আটকের খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান। এরপর বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগকে জানানো হয়। কলারোয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কেএম আবদুল্লাহ আল মানুন জানান, মেছোবাঘ বিপন্ন প্রাণি নয়। সে কারণে যে গ্রাম থেকে এটি ধরা পড়েছে তার আশেপাশে আরও মেছোবাঘ থাকতে পারে। তাই এটি ওই গ্রামের আশপাশের কোনো জঙ্গলে ছেড়ে দিলে তার স্বগোত্রীয় প্রাণিদের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। কলারোয়া উপজেলা বন বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মারুফ বিল্লাহ জানান, মেছোবাঘটি আটকের খবর শোনামাত্রই তিনি বনবিভাগের সহায়তাকারী মোহাম্মদ আলীকে ঘটনাস্থলে পাঠান।