
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরে ছাত্রদল এনসিপির মধ্যে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ছাত্রদল যুবদল ও পথচারীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত যুবদল নেতা নাঈম বেপারীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আনে। এখনও কোনো মালমলা হয়নি। সংঘর্ষ চলাকালে প্রায় একঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা শহরের চৌরঙ্গী এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
পালং থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় শহিদ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত আটক ও বিচার এবং খুলনায় শ্রমিক শক্তির মোতালেব শিকদারের ওপর গুলির প্রতিবাদে জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে এনসিপি নেতাকর্মীরা। মিছিলটি চৌরঙ্গী এলাকায় আসলে মোটরসাইকেল সাইট দেওয়া নিয়ে এক ছাত্রদল কর্মীর সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় এনসিপি নেতাকর্মীদের। এ সময় ছাত্রদল কর্মীকে মারপিট করা হয় বলে অভিযোগ ছাত্রদল কর্মীদের। এ ঘটনারকে কেন্দ্র করে চৌরঙ্গী এলাকায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষ। এ সময় একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। সংঘর্ষে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইসহাক সরদার, সদস্য আবিদ খান, আবির খান, নিরব তালুকদার, আরমান ও মামুন মাঝি। যুবদল নেতা মোহাম্মদ আলী ও নাঈম বেপারীসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত যুবদল নেতা নাঈম বেপারীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল তালুকদার বলেন, ছাত্রদলের এক কর্মীকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কোনো কারণ ছাড়াই আটকে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় এনসিপির নেতাকর্মীরা। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
এনসিপির জেলা কমিটির সাবেক যুগ্ম সমন্বয়কারী সবুজ তালুকদার বলেন, আমাদের মিছিল চলাকালে ছাত্রদলের একজন মোটরসাইকেল নিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই মিছিলের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং আমাদের উপর ওপর হামলা চালায়। পরে আমরা তাকে ধরে রাখলে ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল ও তার দলবল এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। পালং মডেল থানার ওসি শাহ আলম বলেন, এনসিপির মিছিলে একটি মোটরসাইকেল ঢুকে পড়াকে কেন্দ্র করে ভুল বুঝাবুঝিতে ছাত্রদলের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।