পবিত্র মাহে রমজান আজ ১২তম দিন। সিয়াম সাধনার মাস। এ মাসে আল্লাহ তায়ালা সুস্থ ও সচল মানুষের উপর রোজাকে ফরজ করেছেন। তবে অনেকেই বিভিন্ন রোগের কারণে রোজা রাখবেন কি রাখবেন না। এটা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো কিডনি রোগ। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ব কিডনি দিবস। সারা বিশ্বে কিডনি রোগের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এই দিনটি পালন করা হয়। প্রতিবছরের মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের বৃহস্পতিবার দিবসটি পালিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এবার পালিত হবে বিশ্ব কিডনি দিবস-২০২৫ বর্তমান বিশ্বে অসংক্রামক ব্যাধিগুলোর মধ্যে কিডনি রোগ অন্যতম। সারা বিশ্বে বেড়েই চলেছে কিডনি রোগীর সংখ্যা। পুরুষের তুলনা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে নারী। বাংলাদেশে দিন দিন কিডনি রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। একজন কিডনি রোগী তার শরীরের দুটি কিডনিই যখন ৬০ থেকে ৭০ ভাগ বিকল হয়ে পড়ে তখনই তিনি এ রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারেন। এ কারণে রোগ ধরা পড়ার পর রোগী চিকিৎসার জন্য খুব কম সময়ই পান। দীর্ঘমেয়াদি ও বহুমূল্যের ডায়ালাইসিস করানোর মাধ্যমে কিডনিকে সচল রাখা যায়। তবে এর খরচ ব্যয়বহুল। ডায়ালাইসিস এবং প্রতিস্থাপন ব্যয়বহুল হওয়ায় বেশিরভাগ রোগীর পক্ষেই এর চিকিৎসা নেয়া সম্ভব হয় না। এছাড়া কিডনি পাওয়া সাপেক্ষে কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচ কমবেশি হলেও ৫-৭ লাখ টাকা এবং পাশাপাশি সারা জীবন ওষুধের খরচ চালাতে হয়। বিশ্বব্যাপী কিডনি রোগীর সংখ্যা এবং এর কারণে মৃত্যুর সংখ্যা সঠিকভাবে গণনা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। কারণ একজন রোগী হৃদরোগে মারা গেলে তাকে হৃদরোগী ধরা হয়, কিডনির জন্য হৃদরোগের কারণ ধরা পড়ে না। অনেকেরই কিডনি ধীরে ধীরে বিকল হয়ে পড়ে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গ থাকে না। ফলে রোগীরা বুঝতে পারে না এ রকম একটি ভয়াবহ রোগ তার শরীরে বাসা বেঁধেছে। যাদের ডায়াবেটিস আছে অথবা যাদের পরিবারে ডায়াবেটিস আছে, যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে বা পরিবারের কারও কিডনি সমস্যা আছে, তাদের বছরে অন্তত একবার কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। কিডনি অকার্যকর হওয়ার প্রধান কারণগুলো হলো ডায়াবেটিস, নেফ্রাইটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনিতে জীবাণুর আক্রমণ, সিসটিক ডিজিজিস, বিশৃঙ্খল জীবনযাপন। আর ভেজাল ও কৃত্রিম খাবারের এ যুগে বড় একটি সমস্যা হলো কিডনিতে পাথর। রক্তের ইউরিয়া ক্রিয়েটিনিন লেভেল পরীক্ষা, আলট্রাসনোগ্রাম ইত্যাদির মাধ্যমে কিডনি সমস্যা পরীক্ষা করা যায়। রোগ ধরা পড়লে নিয়ম অনুযায়ী চলাফেরা ও খাওয়া-দাওয়া করলে সুস্থ থাকা যায়। দৈনিক ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা, নিয়মিত ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম করার মাধ্যমে কিডনি রোগী স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে। মনে রাখতে হবে কিডনিকে সুস্থ রাখতে হলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
দিবসটি উপলক্ষে সারা বিশ্বের পাশাপাশি আমাদের দেশেও বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে। কিডনি রোগের প্রধান কারণ ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ ১০ বছর পূর্বে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর হার ছিল ৫-৬ ভাগ; বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১-১২ ভাগ। উচ্চ রক্তচাপের হার ছিল ১০ ভাগ এবং এখন তা ২০-২৫ ভাগ। বর্ধিত হারে এই দুই রোগের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর কিডনি রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেননা কিডনি রোগের প্রধান কারণ হচ্ছে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪০ হাজার রোগীর কিডনি বিকল হয়। এর মাত্র ২০ ভাগ রোগীর চিকিৎসার সুযোগ রয়েছে। বাকি ৮০ ভাগ রোগী চিকিৎসার অভাবেই মারা যায়। বছরে মারা যাচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। মূএ যন্ত্রের এবং মূএের যে কোন পীড়া সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান লাভ করতে হলেই প্রথমে যন্ত্রটি সম্পর্কে আমাদের একটি সঠিক ধারণা থাকতে হবে। মুত্র যন্ত্রটিকে প্রধান চারটি ভাগে ভাগে ভাগ করা যায়. যথা ১. দুইটি কিডনি যা মুত্র নিঃসৃত করে থাকে ২. দুটি মুত্রবাহী নালী বা ইউরেটারস যা প্রসাবকে কিডনি থেকে নিচে নিয়ে যায়। ৩. একটি মুত্রনালী বা ইউরিনারী ব্লাডার যেখানে মুত্র সঞ্চিত থাকে ৪. মুত্রনালী বা ইউরেথ্রা যা দিয়ে প্রসাব বেরিয়ে আসে। পুরুষদের ক্ষেত্রে ইহা এটি যোনি বহিঃইন্দ্রীয় এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে একটি ছিদ্র। মূত্রযন্ত্রের অংশগুলো ১. লেফট কিডনি ২. রাইট কিডনি ৩.এয়োর্টা ৪.ইনফিরিয়ার ভেনা কেভা, ৫. লেফট্ ইউরেটার, ৬. রাইট ইউরেটার, ৭. ইউরিনারী ব্লাডার ৮. ইউরেথ্রাউল্লেখযোগ্য। ডান কিডনি বাঁ দিকের কিডনি থেকে একটু নিচে থাকে তার কারণ ডান দিকের কিডনির উপর লিভার থাকে। প্রতিটি কিডনি লম্বায় প্রায় ৪-৫ ইঞ্চি এবং প্রান্তেই আড়াই ইঞ্চি। একজন পূর্ণ বয়স্ক লোকের কিডনির প্রতিটির ওজন হয় প্রায় ১৪০ গ্রাম। কিডনি আকৃতি অনেকটা বরবটি ভেতরের দানার মতো। ডানদিকের কিডনির সামনে থাকে লিভার বৃহৎ অন্ত্র, ডিওডেনাম এবং ক্ষুদ্রান্ত্র। বাম দিকের কিডনি সামনে থাকে প্লীহা, প্যানক্রিয়াস,পাকস্থলীর অংশ, ক্ষুদ্রান্ত্র এবং বৃহৎ অন্ত্র। সম্প্রতি বাংলাদেশে ৩ কোটি ৮০ লাখের ও বেশি মানুষ কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রায় ৭৫ শতাংশ কিডনি বিকল হওয়ার পর রোগীরা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। প্রতি বছর কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে মারা যাচ্ছেন ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ। অথচ গণসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ৬০ শতাংশ কিডনি রোগ প্রতিরোধ করা হোমিওপ্যাথিতে সম্ভব। বাংলাদেশে কিডন নষ্ট হওয়াসহ অন্যান্য মারাত্মক কিডনি রোগ বৃদ্ধির যে পিলে চমকানো খবর বেরিয়েছে, তাতে যে-কোন সচেতন ব্যক্তিমাত্র মর্মাহত হবেন। পরিসংখ্যান মতে, বাংলাদেশে প্রায় ১৮ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত। এদের মধ্যে দীঘর্স্থায়ী জটিল কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক কোটি আশি লক্ষ। এই রোগে প্রতি ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করছে ৫ জন। যেহেতু কিডনি ডায়ালাইসিস এবং নতুন কিডনি লাগানোর মতো চিকিৎসায় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতে হয়, সেহেতু বেশিরভাগ রোগীই বলতে গেলে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করে। তাছাড়া দীঘর্স্থায়ী কিডনি রোগীদের বেশিরভাগই হার্টঅ্যাটাকে মারা যায়। কারণ কিডনি রোগ, হার্টঅ্যাটাক এবং ডায়াবেটিস একেবারে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এসব প্রাণনাশী কিডনি রোগের সংখ্যা কল্পনাতীত হারে বৃদ্ধির মূল কারণ হলো ভেজাল খাবার ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ এই তিনটি কারণকে এলোপ্যাথিক কিডনি বিশেষজ্ঞরা প্রকৃত কারণ বললেও আসলে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে বরং বেশি বেশি অপ অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খাওয়াকেই কিডনি নষ্ট হওয়ার মূল কারণ বলতে হবে। কেননা আমরা অনেকেই জানি না যে, আমরা যত ওষুধ খাই তার অধিকাংশই রক্তে প্রবেশ করে তাদের কাজ-কর্ম পরিচালনা করে থাকে। পরবর্তীতে তাদের রক্ত থেকে সংগ্রহ করে ছেকে ছেকে শরীর থেকে বের করার দ্বায়িত্ব পালন করতে হয় এই কিডনি দুটিকে। ফলে আমরা যতো বেশি ওষুধ খাই, আমাদের কিডনিকে তত বেশি পরিশ্রম করতে হয় এবং ফলশ্রুতিতে কিডনি দুটি তত বেশি দুর্বল-ক্লান্ত-শ্রান্ত-অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাছাড়া বেশি বেশি ওষুধ খেলে তাদের শরীর থেকে বের করে দেয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হয়। কিন্তু আমাদের অনেকেই বেশি বেশি পানি খাওয়ার বিষয়টি মেনে চলি না। কিডনি ড্যামেজ হওয়ার মূল কারণ হিসেবে যে রোগকে বিবেচনা করা হয় তার নাম নেফ্রাইটিস এবং নেফ্রাইটিস হওয়ার মূল কারণও এই ওষুধ। কিডনি যদিও নিয়মিত আমাদের খাওয়া সব ওষুধসমূহ নিষ্কাশন করে কিন্তু তার মাঝেও ওষুধের দুয়েকটা কণা কিডনির অজান্তেই কিডনির গায়ে লেগে থাকে। পরবর্তীতে সেই কণাটির ওপর নানারকমের জীবাণু, ক্যামিকেল, মৃতকোষ ইত্যাদি জমতে জমতে সেটির গঠন বদলে যায়। ফলে কিডনি আর সেই কণাটিকে চিনতে পারে না। এক সময় কণাটি নিজে কিডনির একটি অংশ হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু কিডনি সেই কণাটিকে গ্রহণ করতে রাজি হয় না। শেষ পর্যন্ত কিডনির ভিতরে গৃহযুদ্ধ শুরু হয় যাকে ডাক্তারি ভাষায় বলে অটোইমিউন রিয়েকশান। এভাবে কিডনির এক অংশ অন্য অংশকে চিনতে না পেরে শত্রু হিসেবে গণ্য করে এবং তাকে ধ্বংস করার জন্য উঠেপড়ে লেগে যায়। ফলে কিডনি নিজেই নিজের ধ্বংস ডেকে আনে এবং আমরা কবরের বাসিন্দা হয়ে যাই। সাথে সাথে আমাদের সন্তান-সন্ততীদের করে যাই পথের ভিখারী। কেননা এলোপ্যাথিক চিকিৎসায় কিডনি রোগের যে চিকিৎসা খরচ, তাতে যে-কোনো কিডনি রোগীর পরিবারকে পথে নামতে ছয় মাসের বেশি লাগে না।
রমজানে কিডনি রোগীদের খাদ্যাভাস কেমন হবে? : যারা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগী, যাদের কিডনি বিকল হয়ে পঞ্চম ধাপে আছেন, যাদের নিয়মিত ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে, যাদের মূত্রতন্ত্রের প্রদাহের চিকিৎসা চলছে, আকস্মিক কিডনি বিকল রোগীদের মধ্যে যারা কিডনির কোনো জরুরি অপারেশন করাতে হচ্ছে তাদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীদের যদি রক্তের উপাদানে কোনো জটিলতা দেখা দেয়, যাদের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত, তাদের এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে রোজা রাখতে হবে।
রোজায় একজন কিডনি রোগী কি খাবেন : সাধারণত ক্রিয়েটিনিন বেশি থাকলে কিডনি রোগীদের ডাল ও ডালের তৈরি খাবার খেতে নিষেধ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজু, বেসনের তৈরি বেগুনি, হালিম, ঘুগনি ইত্যাদি। সুতরাং কিডনি রোগীদের এ সমস্ত খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এর বদলে চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি খাবার খেতে পারেন। সবজির পাকোড়া ময়দা দিয়ে বানিয়ে খেতে পারেন। আলুর চপ ডিমের সাদা অংশ দিয়ে ভেজে খেতে পারেন। এছাড়াও বাইরের কৃত্রিম রং দেয়া খাবার, টেস্টিং সল্ট দেয়া খাবার না খাওয়াই ভালো। কিডনি রোগীদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রার উপর নির্ভর করে তারা কোন ধরনের ফল খাবেন, নাকি একদমই খাবেন না। তবে আপেল, বিচি ছাড়া পেয়ারা, নাসপাতি, পাকা পেঁপে, আনারস, খেতে পারবেন পরিমাণ মতো।
তা দিয়ে জুস বা ডেজার্ট করে খেতে পারবেন। ভাত, রুটি, মাছ, মুরগির মাংস, দুধ ইত্যাদি কিডনির অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিমাণ মতো খেতে পারবেন। তবে একসাথে একাধিক প্রোটিন না খাওয়াই ভালো। যেমন- মাছ খেলে মাংস বা ডিম খাবেন না সেই বেলা। যাদের রক্তে পটাশিয়াম বেশি তারা শাকসবজি পটাশিয়ামমুক্ত করে পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে খাবেন ও ফল সীমিত পরিমাণ খাবেন। আপনার ডাক্তারের পরামর্শে রক্তের উপাদান মাঝে মাঝে পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। সাহরির সময় ভাত-রুটি, মাছ-মাংস, ডিম, দুধ পরিমিত খাবেন। ইফতারের সময় খাবেন খেজুর, চিড়া, দই, ডিমের পুডিং, সুজি, সেমাই, পায়েস, সাগুদানা ভালো হবে। সেই সঙ্গে আলগা লবণ ও লবণ জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার বিশেষ করে গরু-খাসির মাংস কম খেতে হবে। ১৫ দিন পর পর ১ দিন খাওয়া ভালো তবে মুরগি, মাছ রোজ পরিমাণ মতো খেতে পারবেন।
ওষুধ সেবনের নিয়ম : সকালের ওষুধ সাহরিতে এবং রাতের ওষুধ ইফতারে খাওয়া যাবে। সকালে বা সাহরিতে ওষুধ কম রাখা ভালো; যদি সম্ভব হয়।