কখনও ভেবেছেন, কেন রাজনৈতিক দল আর নারী সংগঠনের লিডাররাই বেশি লাভবান হন; কিন্তু ছোট উদ্যোক্তারা থেকে যান আড়ালে? রাজনৈতিক দল ও নারী ব্যবসায়িক সংগঠনের লিডাররা প্রায়ই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের তুলনায় অনেক বেশি উপকৃত হন। বেশি দেখা যায় তারা ব্যবসায়ী থাকেন যেখানে দৃশ্যমানতা, শক্তিশালী নেটওয়ার্ক আর রাজনৈতিক মূলধন তাদের ব্যক্তিগত ব্যবসা, খ্যাতি ও প্রভাব বাড়ায়। অন্যদিকে, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সময়, অর্থ ও মানসিক শক্তি বিনিয়োগ করেও খুব সামান্য প্রতিদান পান। যারা গসিপ বা বুলিং করছে, তবুও নীরব থাকেন, কারণ এই নীরবতাই নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ টিকিয়ে রাখে আর এটাই মনে করেন তারা।
সংগঠনগুলো প্রায়ই বিবাহিত নারী উদ্যোক্তাদের টার্গেট করে। কারণ, তারা বেশি ধৈর্যশীল, কম প্রশ্ন করে, আর সামাজিকভাবে সহজেই গ্রহণযোগ্য। আসল সমস্যা হলো, সত্যিকারের প্রতিভাবান নতুনরা বেশি সামনে এলে নেতৃত্বের প্রধান কিংবা সহকারী টিকে থাকার অবস্থান চ্যালেঞ্জ হতে পারে, তাই কৌশলে শুধু ‘লোক দেখানোর মতো’ কয়েকজনকে সাহায্য করা হয়।
যারা একসময় নিঃস্বার্থভাবে লিডারদের পাশে দাঁড়িয়েছিল বিভিন্ন বিপদে, পরে নিজের প্রয়োজনে সহায়তা চাইলে তারা সাহায্য করার পরিবর্তে চিন্তা করে- ‘আমি কী পাব? সে কি আমার প্রতিদ্বন্দ্বী হবে?’ যদি ঝুঁকি মনে হয়, তারা নিশ্চুপ থেকে যায়। অথচ বম থেকে তাদের সহযোগিতা করা উচিত। এভাবেই selflessly selfish women organi“ations leaders সমাজসেবার আড়ালে নিজের নাম, ক্ষমতা আর নিয়ন্ত্রণ শক্ত করে ধরে রাখে। যা অনেক ক্ষেত্রেই পজেটিভ এবং নেগেটিভ প্রভাব ফেলে যা তাদের আচরণ দেখে বোঝার উপায় নাই।
দিনশেষে, আমরা সবাই ভালো কাজ করতে চাই পরিবারের জন্য, নিজেদের জন্য, আর পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। কেউ হয়তো খুব বেশি লাইম লাইটে থাকে, কেউ নীরবে কাজ করে। কিন্তু আসল শক্তি সেই সাহসে, যা আমাদের সাহস করায়, এগিয়ে যাবার মানসিক শক্তি বিনিয়োগ করে।
গসিপ আর ক্ষমতার কোলাহলে ভুলে না যাই প্রতিটি উদ্যোগের পেছনে থাকে একজন নারীর স্বপ্ন, ধৈর্য- আর গল্প। যদি আমরা একটু গভীরভাবে শুনি, কম বিচার করি তবে হয়তো সবাই একসঙ্গে বড় হয়ে উঠতে পারবো।
২০২৫ সালে এসে পুরোনো স্ট্রাটেজি, পুরোনো বস্তা পঁচা গল্প, পুরোনও গ্রুপিং, পুরোনো মোটিভেশনাল স্পিচ, ইমোশনাল গল্প এখন আর সাধারণ পাবলিক খাবে না। সবাই সব জানে এবং বোঝে। দয়া করে, পুরোনো স্ট্রেটেজি ভেঙে নতুন করে উদ্যোক্তাদের জন্য এবং যদি অর্গানাইজেশন leader দের বিবাহিত নারীই টার্গেট থাকে তাহলে তাদের করার জন্য নতুন পন্থা অবলম্বন করুন। মেয়েদের বিপরীতে ষড়যন্ত্র আর গসিপ এখন খুব সস্তা কৌশল। নোংরা পলিটিক্স আর নারীর চরিত্র ধ্বংসের খেলা, এটাও একেবারে পুরনো কৌশল। সবাই বুঝে গেছি ২০২৪ এরপর সব কিছু। এখন ২০২৫ আমরা শুধু টিকে থাকতে নয়, নিজের অবস্থান গড়তে এসেছি। ধৈর্য রাখুন, কিন্তু নীরব থাকবেন না। ধীরে হাঁটুন, কিন্তু পিছিয়ে যাবেন না। ভদ্রতাণ্ড দুর্বলতা নয়!
কখন চুপ থাকবেন আর কখন নিজের অস্তিত্বের জন্য লড়াই করতে হবে, সেটা নিজেকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। দিন শেষে সবাই নিজের জন্য কথা বলে, ধৈর্য ধরে চুপ করে বসে থাকে না এবং আমরা বহু সিনিয়র দের দেখেছি নিজের জন্য লড়াই করতে।