ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জাতীয় নির্বাচন প্রতিশ্রুত সময়েই অনুষ্ঠিত হোক

জাতীয় নির্বাচন প্রতিশ্রুত সময়েই অনুষ্ঠিত হোক

বৈষম্য দূর করে সমাজে সাম্য ও ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা এবং দুর্নীতি-দুরাচারমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রক্ত দিয়েছে গণঅভ্যুত্থানের বীর যোদ্ধারা। দেড় হাজার জীবনের দামে, লাখো মানুষ অবর্ণনীয় যন্ত্রণা ভোগ ও ত্যাগে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। লক্ষ্য গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ। অন্তর্বর্তী সরকার যে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছে, এটা তাদের কর্তব্য। এ কথাই দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারণ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বলেছেন, দেশের মানুষ রাষ্ট্র এবং সরকারে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য দেড় দশক ধরে আন্দোলন করেছেন। জুলাইর গণঅভ্যুত্থানে শহিদ হয়েছেন, অন্ধত্ব, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন। ফলে সরকারে যখন যারাই থাক, নাগরিকদের কথা তাদের শুনতেই হবে। জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটতে হবে সরকারের কাজে। সাভারে এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

জনগণের সরকার হতে হবে জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য- এটাই গণতন্ত্রের মূলভিত্তি ও সৌন্দর্য। জনগণই রাষ্ট্রের মালিক। তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতাপ্রয়োগের প্রধান উপায় হচ্ছে নির্বাচন। নাগরিকের আস্থার সরকার গঠনে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের বিকল্প নেই। স্থানীয় থেকে জাতীয় সরকার পর্যন্ত জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে, নিজেদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পেলে, রাষ্ট্র ও সরকারে জনগণের প্রত্যাশা প্রাধান্য পাবে। দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন আসবে। নাগরিকদের রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রয়োগ ও চর্চার মধ্যদিয়ে রাষ্ট্র, রাজনীতি ও জনগণ শক্তিশালী হয়ে উঠবে। দেশের মানুষ তারই অপেক্ষায়। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনেই। সরকার প্রস্তুতি শুরু করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোতেও সাজসাজ রব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সরকারের প্রতিশ্রুত সময়েই ‘ইতিহাসের সেরা’ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব জনগণ-ম্যান্ডেট পাওয়া গণতান্ত্রিক সরকারের হাতে ন্যস্ত হোক- প্রত্যাশা সবার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত