প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাত শুধু অবদান রাখে না বরং পুরো দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতার অন্যতম প্রধান ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। বছরে যে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে আসে, তার ওপর ভর করেই দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ টিকে আছে। কিন্তু সোমবার কালবেলায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটি যে বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছে, তা মোটেও আশাব্যঞ্জক নয়। পুরোনো শ্রমবাজার সংকোচন, নতুন বাজারে প্রবেশ ব্যাহত হওয়া, প্রশাসনিক অস্থিরতা ও আন্তর্জাতিক র্যাংকিংয়ে নেতিবাচক অবস্থানের কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ খাতটি এক গভীর অনিশ্চয়তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। এতে শুধু শ্রমিক রপ্তানি নয়, পুরো অর্থনীতি দীর্ঘমেয়াদে বড় ধাক্কার আশঙ্কায় রয়েছে।
বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একসময় দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ দেশ ছিল। মধ্যপ্রাচ্য থেকে পূর্ব এশিয়া যে অঞ্চলে যাওয়া হতো, সেসব বাজারে বাংলাদেশিদের উপস্থিতি ছিল দৃশ্যমান। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে বদলে গেছে।
অভিযোগ ও হয়রানির কারণে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর ওপর আস্থা কমে গেছে। মালয়েশিয়া চুক্তির ক্ষেত্রে সরকারি আলোচনা ও বাস্তবতার মধ্যে যে বড় ধরনের ফারাক ছিল, তা পুরো খাতকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। অনেক এজেন্সি বলছে, তারা প্রমাণ ছাড়া মামলায় জড়ানো, জটিল লাইসেন্স প্রক্রিয়া এবং অতিরিক্ত প্রশাসনিক চাপের কারণে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিআইডি ও দুর্নীতি দমন কমিশন বেশ কিছু এজেন্সির বিরুদ্ধে মানব পাচার ও অর্থপাচারের অভিযোগে মামলা করেছে। এর পেছনে যথাযথ প্রমাণের অভাব আছে কি না তা নিয়ে সংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন তুলছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তদন্তের আগে থেকেই এজেন্সিগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে সৎ এজেন্সিগুলোও আতঙ্কে থাকে। আর প্রকৃত অপরাধীরা অনেক সময় আড়ালে থেকে যায়। ফলে পুরো খাতের ওপরই সন্দেহের ছায়া পড়ে। এতে বিদেশি নিয়োগকারী দেশগুলোও বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করেছে, যা দীর্ঘমেয়াদে বড় ক্ষতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে সরকার জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, রোমানিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও পোল্যান্ডের মতো দেশে নতুন শ্রমবাজার খোলার ঘোষণা দিলেও বাস্তবতা অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। জাপানের ‘টেকনিক্যাল ইন্টার্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম’ বা দক্ষিণ কোরিয়ার ইপিএস প্রোগ্রামের মতো স্কিমে ভাষা দক্ষতা, কারিগরি দক্ষতা ও সাংগঠনিক প্রস্তুতির অভাবে বাংলাদেশিরা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছে। ২০২৫ সালের শ্রম বিশ্লেষণ অনুযায়ী, প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন এই বাজারগুলোতে বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সাফল্য দেখিয়েছে, কারণ তারা দীর্ঘমেয়াদি দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি চালু করেছে।
প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছর দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের কর্মীর কোটা ১৮ শতাংশ কমে গেছে। এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ভাষাগত দক্ষতার ঘাটতি, পরীক্ষায় উত্তীর্ণের কম হার এবং প্রশিক্ষণ কাঠামো দুর্বল থাকা। অন্যদিকে নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং ইন্দোনেশিয়া কোরিয়ার বাজারে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ আরও অন্তত ৩০ শতাংশ সম্ভাব্য কর্মসংস্থান হারাতে পারে বলে ২০২৫ সালের শ্রমনীতি বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন।
বাংলাদেশের জন্য আরও বড় ধাক্কা এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট থেকে। ২০২৫ সালের রিপোর্টে আবারও বাংলাদেশ ‘ওয়াচলিস্ট’ এ স্থান পেয়েছে। এই অবস্থান মানে হলো বাংলাদেশকে এখন অতিরিক্ত নজরদারির আওতায় রাখা হচ্ছে এবং মানবপাচার প্রতিরোধে গৃহীত পদক্ষেপ যথেষ্ট নয় বলে বিবেচিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে এই ধরনের নেতিবাচক রেটিং বিদেশি নিয়োগদাতাদের মধ্যে অনাস্থা সৃষ্টি করে, যা নতুন নিয়োগের গতি আরও মন্থর করে দেয়।
গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যান শ্রমবাজার সংকোচনের ভয়াবহতা স্পষ্টভাবে তুলে ধরে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মালয়েশিয়ায় ২০২৩ সালে যেখানে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন কর্মী গিয়েছিলেন, ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৯৩ হাজার ৬৩২ জনে। আর ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত মাত্র ২ হাজার ৪৮৬ জন গেছে, যা এই বাজারের প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০২৩ সালে ৯৮ হাজার ৪২২ জন গেলেও ২০২৪ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৪৭ হাজার ১৬৬ জনে। ২০২৫ সালে একই প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যা পুরো খাতের জন্য অশনিসংকেত।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক তথ্য অনুসারে, শ্রমবাজারের সংকোচনের কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে অতিরিক্ত খরচ, যথাযথ প্রশিক্ষণের অভাব, বাজারবিষয়ক কৌশলের দুর্বলতা এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়া। তারা বলছে, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির অভাবও সমস্যা বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগামী অর্থবছরে অন্তত ১৫ শতাংশ কমতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতে নারী শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা একটি গুরুতর উদ্বেগের কারণ। যদিও নারী কর্মীদের অংশগ্রহণ দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহকে শক্তিশালী করেছে, কিন্তু তাদের সুরক্ষার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। গৃহকর্মী হিসেবে কর্মরত অধিকাংশ নারী শ্রমিক নিয়োগকর্তার দ্বারা শারীরিক, মানসিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হন। প্রবাসে আইনি সহায়তা এবং দ্রুত প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্থা অত্যন্ত দুর্বল। বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে শেল্টার হোমের সংখ্যাও সীমিত। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (ILO) মানদ- অনুযায়ী, নারী কর্মীদের জন্য বিশেষ নজরদারি, অভিযোগ প্রতিকারের শক্তিশালী ব্যবস্থা এবং বাধ্যতামূলক বিমা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
একটি উদ্বেগজনক বিষয় হলো- যেসব দেশে এখনও শ্রমবাজার খোলা রয়েছে, সেখানেও বাংলাদেশিদের প্রতি আস্থা কমছে। মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ সাম্প্রতিক সময়ে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা যাচাই শুরু করেছে। মানবপাচার সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর কারণে বাংলাদেশকে হাই রিস্ক ক্যাটাগরির দেশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর ফলে অনেক কোম্পানি ঝুঁকি নিতে চাইছে না, এবং অন্য দেশের কর্মীকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এতে প্রতিযোগিতা আরও বাড়ছে এবং বাংলাদেশিরা সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরকার কর্তৃক অভিবাসন ব্যয় নির্দিষ্ট করে দেওয়া সত্ত্বেও, বাস্তবে চিত্রটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। অবৈধ সিন্ডিকেট এবং অসৎ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কর্মীদের চরম অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে আকাশছোঁয়া ফি আদায় করে। একটি সাধারণ মধ্যপ্রাচ্যের দেশে যেতে একজন শ্রমিককে প্রায়শই সরকারি হারের চেয়ে দুই থেকে তিন গুণ বেশি অর্থ দিতে হয়, যার ফলে তারা গুরুতর ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েন। এই উচ্চ অভিবাসন ব্যয় ভারতকে বা পাকিস্তানের মতো প্রতিযোগী দেশগুলোর কর্মীদের তুলনায় বাংলাদেশের কর্মীদের কম প্রতিযোগিতামূলক করে তোলে যেখানে খরচ তুলনামূলকভাবে কম।
শ্রমবাজার সংকোচনের একটি অলক্ষিত; কিন্তু গুরুতর প্রভাব হলো প্রত্যাগত শ্রমিকদের পুনর্বাসন সমস্যা। হাজার হাজার কর্মী চাকরি হারিয়ে দেশে ফিরছেন; কিন্তু তাদের অর্জিত দক্ষতা যেমন: প্লাম্বিং, ইলেক্ট্রিক্যাল কাজ বা উন্নত ড্রাইভিং দেশে যথাযথভাবে স্বীকৃত হয় না। তাদের জন্য কোনও সুসংগঠিত পুনঃএকত্রীকরণ কর্মসূচি নেই, ফলে বিশাল অঙ্কের রেমিট্যান্স এনেও তারা দেশে বেকারত্বের শিকার হচ্ছেন। সরকার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণের ব্যবস্থা রাখলেও, তা অপ্রতুল এবং প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে শ্রমিকদের কাছে সহজে পৌঁছায় না। যদি এই দক্ষ জনশক্তিকে পুঁজি করে দ্রুত ছোট বা মাঝারি উদ্যোগ স্থাপনের সুযোগ করে দেওয়া যেত, তবে তা অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি সম্পদ হতো। বিদেশে চাকরির সুযোগ কমে যাওয়া শুধু কর্মসংস্থানের সংকটই তৈরি করছে না, বরং দেশের অর্থনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলছে। রেমিট্যান্স বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার সবচেয়ে বড় উৎসগুলোর একটি। ২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ গত বছরের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ কমেছে। ডলার সংকট, ব্যাংকিং চ্যানেলে অনিয়ম, এবং হুন্ডি চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠায় আনুষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে। এর ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও দুর্বল হচ্ছে।
শ্রমবাজার সংকোচনের ফলে সামাজিক প্রভাবও দেখা দিচ্ছে। বিদেশগামী হাজারো তরুণ এখন বেকারত্বের দুঃশ্চিন্তায় ভুগছে। পরিবারগুলো ঋণ নিয়ে বিদেশ যাওয়ার প্রস্তুতি নিলেও বাজার সংকুচিত হওয়ায় তারা বিপদে পড়ছে। অনেকে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশগামী শ্রমিকদের এই অনিশ্চয়তা দীর্ঘমেয়াদে দেশের সামাজিক স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এখন জরুরি হলো, এই সংকটের জন্য সুস্পষ্ট নীতি এবং সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা। প্রথমত, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর ওপর অযথা চাপ ও প্রমাণহীন মামলার প্রবণতা কমাতে হবে। অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে, কিন্তু সৎ ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, নতুন শ্রমবাজারে প্রবেশের জন্য ভাষা শিক্ষা, কারিগরি প্রশিক্ষণ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক মানদ-ে প্রস্তুতি বাড়াতে হবে। তৃতীয়ত, বিদেশি নিয়োগদাতাদের মাঝে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য দেশের ভাবমূর্তি পুনর্গঠন করতে হবে।
বিদেশে কর্মরত শ্রমিকদের সংকটকালীন সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলোর ভূমিকা আরও জোরদার করা প্রয়োজন। কর্মীর সংখ্যা অনুপাতে দূতাবাসের জনবল এবং বাজেট প্রায়শই অপ্রতুল হয়, ফলে হাজার হাজার শ্রমিকের জরুরি আইনি বা স্বাস্থ্য সহায়তা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া, বিদেশি নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ বা হয়রানির ক্ষেত্রে দূতাবাসগুলোর কূটনৈতিক তৎপরতাও অনেক সময় দুর্বল থাকে। শ্রমবাজার পুনরুজ্জীবিত করতে হলে দূতাবাসগুলোকে শুধু প্রশাসনিক কাজ নয়, বরং বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমের ব্র?্যান্ডিং, নতুন নিয়োগকর্তা খোঁজা এবং কর্মীদের সংকট সমাধানে সক্রিয় ‘সাপোর্ট উইন্ডো’ হিসেবে কাজ করতে হবে।
শ্রমবাজার সংকট নিরসনে কূটনৈতিক প্রচেষ্টাও জরুরি। পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে পুনরায় উচ্চপর্যায়ের আলোচনা শুরু করতে হবে। মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে পূর্বের জটিলতা দূর করে নতুন চুক্তির ভিত্তি তৈরি করা দরকার। একই সঙ্গে ইউরোপের বাজারে প্রবেশের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি বিস্তৃত করতে হবে। সরকার ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে যেসব দেশকে অগ্রাধিকার তালিকায় রেখেছে, সেগুলোর সঙ্গে দ্রুত অগ্রগতি প্রয়োজন। বাংলাদেশের অর্থনীতি বহু বছর ধরে রেমিট্যান্সের ওপর নির্ভরশীল। এই খাতের সংকট মানে দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় গভীর আঘাত। সরকারি উদ্যোগ, ব্যবসায়ীদের সক্রিয়তা এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের সমন্বয় ছাড়া এই সংকট উত্তরণ সম্ভব নয়। এখনই সময় সুনির্দিষ্ট নীতি, স্বচ্ছ তদন্ত ব্যবস্থা, দক্ষ প্রশাসন এবং দূরদর্শী পরিকল্পনার মাধ্যমে শ্রমশক্তি রপ্তানি খাতকে পুনরুজ্জীবিত করার। কারণ এই খাতকে বাঁচানো মানে দেশের অর্থনীতিকে বাঁচানো। সংকট যতই বহুমুখী হোক, সমাধান এখনও সম্ভব যদি সংশ্লিষ্টরা আন্তরিকতা ও দায়িত্ববোধ নিয়ে এগিয়ে আসে।
মো. নূর হামজা পিয়াস
শিক্ষার্থী, আইন বিভাগ ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ