২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সাংবাদিক অভি মঈনুদ্দীন ‘বুকেতে জ্বলে আগুন’ শিরোনামের একটি গান লিখেছিলেন। গানটির সুরও করেছিলেন অভি মঈনুদ্দীন। এই গানটি সেই সময়ই কয়েকজন শিল্পীর গাইবার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত গানটিতে কণ্ঠ দেওয়ার জন্য চূড়ান্ত করা হয় ইউসুফ আহমেদ খানকে। সময়ের ধারাবাহিকতায় এই একক গান হয়ে যায় ডুয়েট গান। ইউসুফ আহমেদ খানের সঙ্গে এই গানে সম্পৃক্ত হলেন প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী ইয়াসমিন লাবণ্য। এরইমধ্যে গানটির মিউজিক অ্যারেঞ্জম্যান্টের কাজও শেষ করেছেন ইউসুফ আহমেদ খান। তবে গানটির মিউজিক অ্যারেঞ্জম্যান্টের কাজ শেষ হওয়ার পর নানা কারণে শিল্পী দুজনের গানে ভয়েজ দেওয়ার সময় হয়ে উঠছে না। ইউসুফ আহমেদ খান জানান, যেহেতু তার নিজেরই স্টুডিও আহ্বলাদ রয়েছে। তাই তিনি যে কোনো সময় চাইলেই ভয়েজ দিতে পারবেন।
গতকাল লাবণ্যের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, তার এই গানটি খুব প্রিয় একটি গান, শখের একটি গান। লাবণ্য বলেন, ‘বুকেতে জ্বলে আগুন-গানটি আমার ভীষণ ভালোলাগার একটি গান। ইউসুফ ভাইয়ের সঙ্গে এর আগে চাইনা হৃদয় ভেঙে যাক-হয়ে যাক পুড়ে পুড়ে ছাই গানটি গেয়েছিলাম। গানটির জন্য বেশ সাড়া পাই নিয়মিত।
বিশেষত গান যারা বোঝেন তাদের এই গানের প্রতি ভালোলাগাটাই অন্যরকম। গানের কথা ও সুর যে কোনো শ্রোতাকে আবেগী করে তুলবে। আর বুকেতে জ্বলে আগুন-গানটি স্টেজ মাতানোর মতো একটি গান। আমি নিজেও মাঝে মাঝে অবাক হই অভি ভাই কেমন করে এমন কথা লিখেন এবং সুর করেন। এই গানটি আমার ভীষণ পছন্দের। এই গান আমি কোনো কারণে বা কোনো অযুহাতেও হারাতে চাই না। এই গানে আমার ভয়েজ থাকুক এটা আমি মনেপ্রাণে চাই। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।
আর নিঃসন্দেহে ইউসুফ ভাই অনেক বড় মাপের একজন সঙ্গীতশিল্পী। তার কণ্ঠে যে কোনো গানই আমার কাছে ভীষণ ভালোলাগে। তার সঙ্গে গাইতে পারাটাও আমার জন্য সৌভাগ্যের।’ ইউসুফের ইচ্ছা আছে ‘বুকেতে জ্বলে আগুন’ গানটির কাজ দ্রুত শেষ করে প্রকাশ করার। এদিকে প্রথমবারের মতো কুষ্টিয়ার শিলাইদহতে গিয়েছিলেন লাবণ্য। শিল্পকলা একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সেখানে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মোৎসব উদযাপিত হয়। সেই অনুষ্ঠানেই লাবণ্য ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা ওই মহামানব আসছে’ গানে নৃত্য পরিবেশন করেন লাবণ্য।