ইরানের তাবরিজ শহরে নতুন করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা তাসনিমের বরাতে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে। যদিও এই হামলায় হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
এর আগে শুক্রবার ভোররাতে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে একটি অভিযানে ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় বড় আকারের হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে একাধিক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়।
ইসরায়েলের এ হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি এবং খাতাম-আল-আনবিয়া হেডকোয়ার্টারের প্রধান গোলাম আলি রাশিদ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
এছাড়া ছয়জন ইরানি পারমাণবিক বিজ্ঞানী নিহত হন, যারা হলেন: আবদুলহামিদ মিনুচেহর, আহমদরেজা জুলফাগারি, সৈয়দ আমিরহোসেইন ফাকিহি, মোতলাবিজাদে, মোহাম্মদ মাহদি তেহরানচি এবং ফেরেইদুন আব্বাসি।
এই হামলার জবাবে ইরানও পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের জেরুজালেমে দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে খাদ্য ও পানির মজুদ। আতঙ্কে সাধারণ মানুষ দোকানপাটে ভিড় করছে। তেল আবিবের রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে গেছে।
শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ইসরায়েলের জনগণের ঘুম ভাঙে সাইরেন ও মোবাইল সতর্কবার্তায়। সরকার জানায়, দেশটির সামনে একটি গুরুতর হুমকি রয়েছে এবং সবাই যেন আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকে।
ইসরায়েলের জরুরি বিভাগ জানায়, দেশে রক্ত সংগ্রহ জোরদার করা হচ্ছে এবং কিছুটা সুস্থ রোগীদের হাসপাতাল থেকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে পশ্চিম তীরের সব ফিলিস্তিনি শহরে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ইতোমধ্যে ইরান থেকে প্রায় ১০০টি ড্রোন তাদের দিকে রওনা হয়েছে।