ঢাকা শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন।

শুক্রবার (১৩ জুন) বিকালে দুই নেতার মাঝে এই ফোনালাপ হয়। কী নিয়ে কথা বললেন তারা?

ফোনালাপে বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করা হয়।

বর্তমানে জাতিসংঘের গ্লোবাল এডুকেশনের বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালনকারী গর্ডন ব্রাউন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রদান করায় অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করেন। তিনি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর লক্ষ্যে ড. ইউনূসের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

উভয় নেতা বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে বসবাসকারী শিশুদের শিক্ষাক্ষেত্রে বিদ্যমান দুরবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাঁচ লাখেরও বেশি শিশুর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত অবস্থার প্রেক্ষিতে তারা উভয়েই ‘একটি হারিয়ে যাওয়া প্রজন্ম’ ঠেকাতে শেখার সুযোগ নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।

ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে রোহিঙ্গা শিশুরা আশাবাদ ও একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার সক্ষমতা নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে।’ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তা জোগাতে তিনি সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

ড. ইউনূসের সঙ্গে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ, কী কথা হলো?

ঢাকা মেইল ডেস্কপ্রকাশিত: ১৩ জুন ২০২৫, ১০:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

24Shares

facebook sharing button

twitter sharing button

whatsapp sharing button

YUNUS

প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন।

শুক্রবার (১৩ জুন) বিকালে দুই নেতার মাঝে এই ফোনালাপ হয়। কী নিয়ে কথা বললেন তারা?


বিজ্ঞাপন


ফোনালাপে বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করা হয়।

বর্তমানে জাতিসংঘের গ্লোবাল এডুকেশনের বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালনকারী গর্ডন ব্রাউন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রদান করায় অধ্যাপক ইউনূসের প্রশংসা করেন। তিনি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর লক্ষ্যে ড. ইউনূসের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

উভয় নেতা বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে বসবাসকারী শিশুদের শিক্ষাক্ষেত্রে বিদ্যমান দুরবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পাঁচ লাখেরও বেশি শিশুর আনুষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত অবস্থার প্রেক্ষিতে তারা উভয়েই ‘একটি হারিয়ে যাওয়া প্রজন্ম’ ঠেকাতে শেখার সুযোগ নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন।

ড. ইউনূস বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে রোহিঙ্গা শিশুরা আশাবাদ ও একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার সক্ষমতা নিয়ে বেড়ে উঠতে পারে।’ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সহায়তা জোগাতে তিনি সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।


বিজ্ঞাপন


গর্ডন ব্রাউন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে শিক্ষা কর্মসূচি সম্প্রসারণে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এই লক্ষ্যে তার বৈশ্বিক শিক্ষা প্রচারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চান।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সফরের আগ্রহও প্রকাশ করেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, যাতে তিনি স্বচক্ষে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে পারেন এবং সম্ভাব্য সহায়তার উপায়গুলো খুঁজে বের করতে পারেন।

দুই নেতার ফোনালাপে বাংলাদেশের অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম এবং শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের ক্ষেত্রে পারস্পরিক আগ্রহের বিষয়টিও উঠে আসে।

ফোনালাপ,প্রধান উপদেষ্টা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত