বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে নবাগত নায়িকা হিসেবে প্রথম সিনেমা দিয়েই বেশ সাড়া ফেলেছিলেন চিত্রনায়িকা মন্দিরা চক্রবর্ত্তী। খুলনার মেয়ে মন্দিরা নাচে ভীষণ পটু ছিলেন। ‘সেরা নাচিয়ে’ প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে যদিও পেশাগতভাবে মিডিয়াতে মন্দিরার যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে নাচের পাশাপাশি নাটকে অভিনয়ও করেন তিনি। একটা সময়ে এসে তার মনে হলো সিনেমাতে অভিনয় করাটাই তার জন্য বেশি শ্রেয়। সুযোগ এলো সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘কাজল রেখা’তে ভূমিকায় অভিনয় করার। গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত এই সিনেমা প্রায় দুই বছর নানান কারণে মুক্তির তারিখ পিছালেও নায়িকা মন্দিরা হতাশ হননি। কারণে তার ভাষ্য এমন ছিল যে, যা হচ্ছে আমার ভালোর জন্যই হচ্ছে।
অবশেষে গেলো বছর পহেলা বৈশাখে উপলক্ষে ১১ এপ্রিল সিনেমাটি মুক্তি পায়। ‘কাজল রেখা’ মুক্তির পরপরই নবাগত নায়িকা হিসেবে মন্দিরা চক্রবর্ত্তী সবার নজর কাড়েন। তার অভিনয়ে মুগ্ধ হন দর্শক। এমনও দেখা গেছে অনেক দর্শকই প্রশ্ন করেছেন যে তিনি বাংলাদেশের নায়িকা কী না? কারণ মন্দিরা তার সময়কালের নায়িকাদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরী নায়িকা। তার চোখ, তার মন কাড়া মিষ্টি হাসি, তার রূপ সবকিছুই যে কাউকে মুহূর্তেই মুগ্ধ করার মতো। ‘কাজল রেখা’ মুক্তির পর এরইমধ্যে দেশের বাইরে নবাগত নায়িকা হিসেবে তিনি সম্মাননা পেয়েছেন। আবার দেশেও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তবে আগামী ঈদে মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘নীল চক্র’ নিয়ে মন্দিরার প্রত্যাশা তার প্রথম সিনেমার চেয়ে অনেক অনেক বেশি। মিঠু খান পরিচালিত ‘নীল চক্র’ সিনেমায় মন্দিরাকে নতুনরূপে দেখবেন দর্শক। এরইমধ্যে সিনেমাটি মুক্তির ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান মন্দিরা চক্রবর্ত্তী। এতে তার বিপরীতে আছেন চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। সিনেমাটি নিয়ে মন্দিরা চক্রবর্ত্তী বলেন, ‘নীল চক্র নিয়ে প্রত্যাশাতো আসলেই অনেক অনেক বেশি। কারণ কাজল রেখা হয়ে যখন আমি দর্শকের সামনে এসেছি তখন আমি অনেক অনেক ভালোবাসা পেয়েছি, সেটা আমার প্রত্যাশারও বাইরে ছিল। তারমধ্যে আমি সিনেমার নায়িকা হিসেবে একদমই নতুন ছিলাম। অভিনয়টা কাজল রেখায় আমি করার চেষ্টা করেছিলাম। সেই চেষ্টার পর আমি যে ভালোবাসা পেয়েছি আমার কাছে মনে হয় নীল চক্রতে আমি আরও বেশি বেশি ভালোবাসা পাবো। কারণ অভিনয়ে নিজেকে আমি আরও বুঝে শুনে চরিত্রানুযায়ী উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। আর এই সিনেমার গল্পটা এই সময়ের। খুব খুব ইন্টারেস্টিং একটি গল্প।’