
আমাদের সমাজে কতো ধরনের প্রেমের রসদ রয়েছে। প্রেমলীলা তেমনই একটি গল্প। নির্মাণ করেছেন নাজনীন হাসান খান এবং রচনা ও চিত্রনাট্য দিয়েছেন রাজীব মণি দাস। প্রেমলীলায় অভিনয় করেছেন শিবলী নওমান, সুমাইয়া অর্পা, মাসুদ মহিউদ্দিন, সাইকা আহমেদ, ফরিদ হোসাইন, সুব্রত চক্রবতী প্রমুখ।
পরিচালক নাজনীন হাসান খান, ‘একদিকে যেমন প্রেম মানুষকে অন্ধ করে, অন্যদিকে প্রেম অন্ধকারাচ্ছন্ন মানুষকে জাগ্রতও করে। প্রেমের শক্তি অসীম। এই অসীম শক্তি সবার থাকে না। প্রেমলীলায় সেই প্রেমেরই গল্প বলা হয়েছে।’
রাজীব মণি দাস বলেন, ‘অনেক সময় পছন্দের মানুষকে নিজের মনের কথা বলতে না পারাও একটা ব্যর্থতা। তখন প্রয়োজন অন্যের সহযোগিতা। ছেলের জীবন সঙ্গী খুঁজতে গিয়ে বাবাও যেন ক্লান্ত। তাই ছেলের হয়ে পাত্রী খোঁজার দায়িত্ব বাবা নিজ কাঁধে তুলে নেয়।’ গল্প সংক্ষেপ- জয়নাল একজন খ্যাতিমান শিল্পপতি। এক ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। সামির যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করত, তখন নিধি নামে একটি মেয়ে তাকে খুব পছন্দ করত। কিন্তু সামির কখনও ফিরেও তাকায়নি। সামির তার মায়ের পছন্দ মতই বিয়ে করবে মনে মনে ভাবত।
হঠাৎ একদিন নিধি সামিরের বাসায় এসে হাজির। বাবা জয়নাল সাহেব নিধিকে খুব ভালো করে দেখছেন কিন্তু ছেলের বউ হিসেবে নাকি অন্যকিছু সেটা বুঝা যাচ্ছে না। অন্যদিকে সামিরের বিয়ের জন্য পাত্রী হিসাবে ঠিক করে ফেলল সামিরের মা রাখি। সামির বাসায় আসতেই নিধির কথা বলতেই আতকে ওঠে সে।
কৌশলে নিধির নাম্বার নিয়ে নেয় জয়নাল। সে সামির কণ্ঠ নকল করে নিধির সঙ্গে কথা বলে। নিধিই বুঝতেই পারল না এটা সামিরের কণ্ঠ না। জয়নালের মুখে মিষ্টি মিষ্টি কথা শুনে নিধির বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নতুন করে প্রেম জেগে উঠে। একদিন নিধি ফেইসবুক চ্যাটে বসে সামিরকে বলে জন্মদিনে বাসায় যাবার জন্য।
কলিংবেল শব্দে দৌঁড়ে দরজা খুলে নিধি। সে সামিরের বাবাকে দেখে হতভম্ব। নিধিকে কিছু বলার আগেই সেই মুহূর্তেই শ্রেষ্ঠাকে নিয়ে হাজির হয় সামির। এমনই রহস্যময় প্রেমলীলার গল্পটি শিগগিরই একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হবে বলে নির্মাতা সূত্রে জানা যায়।