
সম্প্রতি দেশে বিভিন্ন নামসর্বস্ব পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব আয়োজনে দেখা যায় দেশের শোবিজ তারকাদের। যাদের অনেকে দর্শকমহলে পরিচিত নন। শুধুমাত্র লাইমলাইটে থাকার প্রবণতা থেকে ছুটছেন বিভিন্ন অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে। যা ভালোভাবে নিচ্ছেন না দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকারা।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভুঁইফোঁড় অ্যাওয়ার্ড প্রসঙ্গে ঢালিউডের চিরসবুজ অভিনেত্রী পূর্ণিমা বলেন, ‘অনেক সময় আমাকেও বলে অ্যাওয়ার্ড নিতে আসেন। আমি জিজ্ঞেস করি, কোনো কাজের জন্য দেবে? তারা বলে- এমনি! এমনি আবার অ্যাওয়ার্ড হয় নাকি? যাদের পুরস্কার দিচ্ছে, তাদের নামই আগে শুনিনি। এসব জায়গায় যেতে ইচ্ছে করে না।’ দীর্ঘদিন ধরে সিনেমার পর্দায় দেখা যাচ্ছে না পূর্ণিমাকে। তাই অনুরাগীদের মনে প্রশ্নের উদয় হয়েছে তবে কী অভিনয় ছেড়েছেন অভিনেত্রী। এ বিষয়ে অনুরগারীদের কিছুটা আশ্বস্ত করে তিনি জানিয়েছে ভালো গল্প পেলে আবারও বড়পর্দায় অভিনয় করবেন। পূর্ণিমার ভাষ্য, ‘ভালো গল্প আর মানসম্মত চরিত্র পেলে এখনও কাজ করতে রাজি।’ বছর দুই আগে কাজল আরিফিন অমির ‘হোটেল রিল্যাক্স’ ওয়েব সিরিজে অভিনয়ের মাধ্যমে ওটিটিতে নাম লিখেছিলেন পূর্ণিমা। এরমধ্যে কেটে গেছে লম্বা সময় তবে দেখা যায়নি নতুন কোনো অভিনয়ে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কাজের আগ্রহ আছে তার। তবে সেখানে বড় বাধা হিসেবে দেখছেন সিন্ডিকেটকে। পূর্ণিমা বলেন, ‘ওটিটিতে কাজ করতে চাই। তবে সেখানে একটা বড় সিন্ডিকেট কাজ করে। বাইরের কাউকে সহজে জায়গা দেয় না। যারা ওই দলে আছে, তারাই সব সময় সুযোগ পায়। অথচ অনেক মেধাবী শিল্পী আছেন, যারা ভালো কাজ করতে পারেন কিন্তু তাদের সেই সুযোগ দেওয়া হয় না।’ ১৯৯৮ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘এ জীবন তোমার আমার’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন পূর্ণিমা। ‘মনের মাঝে তুমি’ ক্যারিয়ারের অন্যতম সফল সিনেমা। এ ছবিতে পুর্ণিমার বিপরীতে অভিনয় করেন রিয়াজ। এছাড়াও ‘আজকের সোমজ’, ‘ভালোবাসা লাল গোলাপ’, ‘নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি’, ‘আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা’ উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র।