
বাংলা চলচ্চিত্র, সংগীত, নাটক এবং সংস্কৃতি অঙ্গনের গৌরবময় ঐতিহ্য উদযাপনের লক্ষ্যে ২০০২ সাল থেকে প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত হয়ে আসছে ‘ঢালিউড ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস’। এটির আয়োজন করে থাকে শো টাইম মিউজিক অ্যান্ড প্লে।
প্রতিবারই নিউইয়র্কের এই জমকালো আয়োজনে সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশি ও দেশীয় তারকারা উপস্থিত থাকেন। সুখবর হচ্ছে, এবার বহির্বিশ্বের নন্দিত এই অ্যাওয়ার্ড আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানটি এবার উদযাপন করবে এর সিলভার জুবিলি, যেটির ভেনু ঢাকার চীন মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র। প্রতিবারের মতো এই অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছে- শো টাইম মিউজিক অ্যান্ড প্লে-র সিইও আলমগীর খান আলম এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহিন কবির। আগামী ৯ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ঢালিউড ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস ২০২৬-এর ২৫তম আসর। এবারের আসরের টাইটেল স্পন্সর গোল্ডেন এইজ, পাওয়ার্ড বাই উৎসব গ্রুপ। এই উপলক্ষে রবিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে আলমগীর খান আলম এবং শাহীন কবির ছাড়াও তারকাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী, শাহানাজ বেলী, শওকত আলী ইমন প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে শো টাইম মিউজিক অ্যান্ড প্লে-এর পক্ষে জানানো হয়, এবার ঢাকায় সিলভার জুবিলি উদযাপন করবে ‘ঢালিউড ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস’। দেশের প্রায় সব তারকা এখানে উপস্থিত থাকবেন। আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য, দেশের চলচ্চিত্র থেকে সংস্কৃতিকে বৈশ্বিক পরিসরে তুলে ধরা এবং নতুন প্রতিভাকে উৎসাহিত করা, সেই সাথে ঢালিউডের গৌরবময় ঐতিহ্যকে নতুন উচ্চতায় তুলে দেওয়া।
২০২৫ সালের সেরা কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের প্রায় ৩০ জনের বেশি তারকাদের এই পুরস্কার প্রদান করা হবে। যাতে আগামী প্রজন্ম আরও অনুপ্রাণিত ও সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করছেন অন্যতম আয়োজক আলমগীর খান আলম। কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী বলেন, ‘অ্যাওয়ার্ডের সুবাদে প্রথম আমেরিকা যাই। সেখানে শুধু বাংলাদেশ নয়, বলিউডের অনেক সুপারস্টার পারফর্ম করেছেন। সেই আয়োজন এবার বাংলাদেশে হচ্ছে। এজন্য শিল্পী হিসেবে আমি গর্বিত।’ সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন বলেন, ‘বিদেশে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে সবচেয়ে বড় অ্যাওয়ার্ড আসর এটি। জমকালো এই আয়োজন সফলভাবে উদযাপিত হবে সেই প্রত্যাশা রাখি।’ আয়োজক আলমগীর খান আলম বলেন, ‘ঢালিউড ফিল্ম অ্যান্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস সিলভার জুবিলি’ শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি এক অনুভূতি, গর্ব এবং স্বপ্ন। যেখানে পুরো জাতি একসঙ্গে উদযাপন করবে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতির জয়যাত্রা।’