ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বিচার সংস্কার জুলাই সনদ পিআরে অনড় জামায়াত

বিচার সংস্কার জুলাই সনদ  পিআরে অনড় জামায়াত

সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জাতীয় সমাবেশ করছে আজ। ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এককভাবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশটি করছে দলটি। সমাবেশে বিচার, সংস্কার, জুলাই সনদ ও পিআরে অনড় থাকবে দলটি। এই সমাবেশের মাধ্যমে মূলত অন্তর্বর্তী সরকার, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে নিজেদের শক্তির জানান দেবে জামায়াতে ইসলামী।

জানা গেছে, সমাবেশে সাত দফা দাবির ওপর গুরুত্ব দেবে জামায়াত। দাবিগুলো হলো- ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ও অন্যান্য সময় সংঘটিত সব গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রের সব স্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ এবং রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিতকরণ।

জামায়াতে ইসলামী জাতীয় সমাবেশ ঘিরে ২০টি পয়েন্টে প্রায় ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করবে। ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে সাড়ে ৩০০ মাইক ও ৩০টি এলইডি লাগানো হয়েছে। ঢাকা শহরের বাইরে থেকে ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে যারা গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য কমপক্ষে ১৫টি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চতুর্দিকে ভেতরে এবং বাইরে মিলিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ১৫টি মেডিকেল বুথ রয়েছে। একাধিক বেড সম্বলিত প্রতিটি বুথে দুজন করে ডাক্তার আছেন। জরুরি ওষুধ এবং অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসের ব্যবস্থা রয়েছে। সমাবেশের কার্যক্রমে আইটি টিম এবং লাইভ প্রচারের জন্য ড্রোন টু ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে সমাবেশে উচ্চমানের ভিডিওধারণ এবং সমাবেশস্থলে বক্তব্য এলইডি স্ক্রিনে প্রদর্শন করা এবং ফেসবুক, ইউটিউবসহ সব সামাজিকমাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার করবে। এ ছাড়া জনসভার শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাখতে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন।

দেশবাসীর সহযোগিতার আহ্বান : সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ সফল করতে দেশবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল দলটির ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৩ বছর পেরিয়ে এসে ৫৪তম বছরে পদার্পণ করেছে জাতি। এ সময়ের মধ্যে দেশের মানুষ একটি ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিল; কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। রাজনৈতিক অস্থিরতা, লুটপাট, বিদেশে অর্থপাচার, সাধারণ মানুষের অধিকারের অবমূল্যায়ন এসবই বারবার দেশের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল বড়; কিন্তু আমরা এখনও সেই স্বপ্নের দেশ গড়ে তুলতে পারিনি। রাজনীতি এখনও একই গতানুগতিক ধারায় চলছে। নির্বাচনের সময় বড় বড় ওয়াদা দেওয়া হয়; কিন্তু নির্বাচনের পর গোষ্ঠীস্বার্থেই সরকারগুলো কাজ করে, সাধারণ মানুষ উপেক্ষিতই থেকে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের সম্পদ লুটপাট করে বিদেশে পাচার করা হচ্ছে। কেউ কেউ দ্বিতীয়-তৃতীয় বাড়ি করছে বিদেশে। অথচ আমাদের একটাই বাড়ি- সেটা হলো বাংলাদেশ। এই দেশ নিয়েই আমরা বাঁচতে চাই, এই দেশের জনগণকে নিয়েই থাকতে চাই।’ শফিকুর রহমান জানান, ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ শুধু জামায়াতে ইসলামীর নয়, বরং এটি একটি বৃহত্তর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, ‘এই সমাবেশ শুধু জামায়াতের কর্মসূচি ভাবলে ভুল হবে। এটি একটি বৃহৎ জাতীয় ঐক্যের প্রতিফলন, যেখানে আমরা মানবিক, ন্যায়ভিত্তিক এবং বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের সংকল্প ব্যক্ত করব।’ তিনি যুবসমাজ, নারী এবং শিশুদের জন্য নিরাপদ ও আস্থার একটি বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে তিনি মহান আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা কখনোই জনগণকে ছেড়ে যাইনি। এটি সম্ভব হয়েছে আল্লাহর রহমত ও জনগণের ভালোবাসার কারণে। ভবিষ্যতেও যেন আমরা জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যেতে পারি, সেই তৌফিক আমাদের যেন দান করেন।’ সর্বশেষ, তিনি দেশের সর্বস্তরের মানুষকে ১৯ জুলাইয়ের সমাবেশ সফল করার জন্য দোয়া, সমর্থন ও অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, স্বাধীনতার পর বিগত ৫৪ বছরে আমরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছি, সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অধিকার হারিয়েছি। ২০২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাকস্বাধীনতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা, সাংবিধানিক অধিকার আমরা যতটুকু ভোগ করতে পারছি এবং এখন জাতীয় সমাবেশ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছি। তিনি বলেন, ঐতিহাসিক জমায়েত হবে সোহরাওয়ার্দীতে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দরকার, তা নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ফ্যাসিবাদীদের হাতে যারা জীবন দিয়েছেন, নিহত হয়েছেন তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এই গণহত্যার বিচার অবিলম্বে সম্পন্ন করতে হবে। নির্বাচনের আগে যেন এই বিচার জাতির সামনে দৃশ্যমান হয়, এটা আমাদের জাতীয় সমাবেশের অন্যতম দাবি। কোনো ষড়যন্ত্র যেন এই সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে প্রায় ১৫০০ বাস, চট্টগ্রাম-ঢাকা ও রাজশাহী-ঢাকা রুটে বিশেষ ট্রেন এবং নৌপথে লঞ্চ রিজার্ভেশন দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনের বাসায় থেকেও সমাবেশে অংশ নেবেন।

যদিও জামায়াত বলছে, ৭ দফা দাবিতে শুধু তাদের দলের নয়, বরং এ সমাবেশ হবে দেশের সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি। ব্যাপক জনসমাগম ও শোডাউনের মধ্য দিয়েই দেশবাসীকে নির্বাচনি বার্তা দেবে দলটি। দলটির পক্ষ থেকে জানা যায়, ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জমায়েত। এ লক্ষ্যে প্রতিদিনই রাজধানীসহ দেশজুড়ে চলছে মিছিল, মিটিং ও গণসংযোগ। সমাবেশ সফল করতে ৪ জোড়া ট্রেন ও লঞ্চসহ ১০ হাজারের মতো বাসভাড়া করা হয়েছে। ভাড়াকৃত যানবাহন ছাড়াও নিজ উদ্যোগে বহু নেতাকর্মী সমাবেশে আসবেন। সেই হিসেবে সমাবেশে ১০ লাখের বেশি নেতাকর্মীর উপস্থিতি আশা করছে দলটি।

সমাবেশে অন্য দলের নেতাদের আমন্ত্রণ : সমাবেশে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিত দলগুলোর মধ্যে রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসসহ আরও কয়েকটি দল। সমাবেশে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে।

প্রযুক্তি ব্যবহার ও নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব : সমাবেশের সম্পূর্ণ কার্যক্রম ড্রোন ও আধুনিক ক্যামেরা দিয়ে ধারণ করা হবে। ফেসবুক, ইউটিউব ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার করা হবে, মাঠে থাকবে বড় আকারের এলইডি স্ক্রিন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সঙ্গে বৈঠকে ট্রাফিক, নিরাপত্তা ও জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে সমন্বয় করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিতভাবে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছে দলটি।

সম্ভাব্য যানজটের জন্য দুঃখপ্রকাশ : রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ কেন্দ্র করে সম্ভাব্য যানজট ও জনদুর্ভোগের জন্য আগাম দুঃখ প্রকাশ করেছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সমাবেশস্থল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জাতীয় সমাবেশে কয়েক লাখ মানুষ রাজধানীতে প্রবেশ করবেন, যার ফলে সাময়িক দুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে। তবে সেই দুর্ভোগ যেন যতটা সম্ভব সীমিত রাখা যায়, সেজন্য দলের পক্ষ থেকে নানা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকেই স্থল, নৌ, সড়ক ও রেলপথে মানুষ ঢাকায় প্রবেশ শুরু করবে। আমরা চাই, কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন এবং একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে যেন জাতীয় সমাবেশটি সম্পন্ন হয়। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই, যেন আমাদের সমাবেশটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে পারি।

ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ কেন্দ্র করে গতকাল ঢাকার শাহবাগ পূর্ব থানার উদ্যোগে প্রচার মিছিল করা হয়। সেগুনবাগিচস্থ আন নুর মসজিদের সামনে থেকে শুরু হয়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিজয়নগর মোড়ে এসে মিছিল শেষ হয়। মিছিলে কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এবং ঢাকা ৮ সংসদীয় আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট ডক্টর হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ে জামায়াত সর্বদা প্রস্তুত। আগামী নির্বাচন যেন সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিক মানদ-ে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়, তা নিশ্চিত করতে শান্তিপূর্ণ গণআন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।’ গতকাল শুক্রবার শাহবাগ পূর্ব থানা আমির আহসান হাবিবের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি মোঃ নুরুন্নবী রায়হানের সঞ্চালনায় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন থানা বায়তুলমাল সম্পাদক কামরুজ্জামান, অফিস ও প্রচার সম্পাদক মুখলেছুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।

ড. হেলাল বলেন, ১৯ জুলাই ঢাকার জাতীয় সমাবেশ শুধু একটি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এই সমাবেশের মাধ্যমে জনগণের ন্যায্য দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় জাতির সামনে তুলে ধরা হবে। তাই এই ঐতিহাসিক জাতীয় সমাবেশ সফল করার জন্য সর্বস্তরের জনগণকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামী কোন চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, দখলবাজদের সাথে জোট করবে না। জামায়াতে ইসলামী জোট করবে সৎ, দক্ষ, যোগ্য, নৈতিক ও আদর্শবান নেতৃত্বের সঙ্গে। জামায়াতে ইসলামীর লক্ষ্যই হচ্ছে সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নৈতিক ও আদর্শবান নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতিকে একটি নিরাপদ বাসযোগ্য কল্যাণ রাষ্ট্র উপহার দেওয়া।

জামায়াতের জাতীয় সমাবেশের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর শাহবাগ পূর্ব থানা আমির আহসান হাবিব আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, শপিং মলসহ বিভিন্ন জায়গায় ভ্রাম্যমাণ মাইকের মাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাড়া-মহল্লায় মিটিং ও মিছিল করা হয়েছে। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশ ঘিরে প্রায় ১৫ লাখ নেতাকর্মীর সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাজধানী ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে লাখ লাখ নেতাকর্মী সমাবেশে উপস্থিত হবেন। যাতাযাতে ট্রেন, বাস ও লঞ্চ সংকটের কারণে ইচ্ছা থাকা শর্তেও জেলায় জেলায় বহু নেতাকর্মী সমাবেশে আসতে পারছেন না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত