ঢাকা শুক্রবার, ১৫ আগস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

যুদ্ধবিরতির ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও চমকে দেয়

নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণ
যুদ্ধবিরতির ঘোষণা ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদেরও চমকে দেয়

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হঠাৎ ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার পর তিনি এ ঘোষণা দিয়েছেন। কাতার এই আলোচনায় মধ্যস্থতা করেছে বলে জানান তিনি।

গণমাধ্যমে প্রকাশ্যে আলোচনার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ভূমিকা রেখেছেন। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার কিছু পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিজের প্রশাসনের কিছু শীর্ষ কর্মকর্তাও এ ঘোষণায় বিস্মিত হন। গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েল-ইরান দুই পক্ষই এই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তবে গতকাল ট্রাম্পের ঘোষণার তিন ঘণ্টার মধ্যেই ইরানে ইসরায়েলের নতুন হামলার খবর পাওয়া যায়। এতে প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ সব পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছিল কি না।

এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ যুদ্ধবিরতির পক্ষে চাপ প্রয়োগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে সহায়তা করেন। দুই মাস ধরে এ তিনজন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার একটি চুক্তির লক্ষ্যে কাজ করছিলেন। ওই কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই তিন কর্মকর্তা ‘সরাসরি ও পরোক্ষ’ উভয় ধরনের চ্যানেল ব্যবহার করে ইরানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার শর্ত ছিল, তাদের ওপর ইরান আর আক্রমণ না করলে তারা যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী ইরানের তিনটি পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ স্থাপনায় হামলা চালালে তা যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু করার পরিস্থিতি তৈরি করে দেয়।

তবে ইরান কী শর্তে রাজি হয়েছে বা তারা তাদের ইউরেনিয়ামের মজুত কোথায় রেখেছে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত