
ইসরায়েলি বন্দরগুলোর ওপর আরোপিত নৌ অবরোধ লঙ্ঘনের দায়ে হামলার শিকার ‘ইটারনিটি সি’ জাহাজের ক্রুদের ভাগ্য সম্পর্কে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে ইয়েমেনের আনসার-আল্লাহ আন্দোলনের নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র বাহিনী। গত সোমবার সন্ধ্যায় ইয়েমেনের সামরিক মিডিয়ায় সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, ৯ জুলাইয়ের অভিযানের পর ইয়েমেনি নৌবাহিনী দুইদিনব্যাপী উদ্ধার অভিযান চালায়।
অভিযানে ১১ জন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করা হয়, যাদের মধ্যে দুইজন আহত ছিলেন। তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। একজন নাবিকের লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। বেঁচে যাওয়া ক্রুদের বরাতে জানা যায়, জাহাজটি সৌদি আরবের জেদ্দা বন্দরকে মিথ্যা গন্তব্য দেখিয়ে ইসরায়েলের এইলাত বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। প্রকৃতপক্ষে, জাহাজটি সোমালিয়ার বারবেরা বন্দর থেকে যাত্রা করেছিল।
উদ্ধারকৃত নাবিকেরা ভিডিওতে বিশ্বব্যাপী নৌ-বাণিজ্য সংস্থাগুলোর প্রতি সতর্কবার্তা দেন। তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তারা বলেন, লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলের সময় জাহাজের সনাক্তকরণ ব্যবস্থা সক্রিয় রাখা উচিত এবং দখলদার দেশটিকে কোনো ধরনের সমর্থন দেওয়া উচিত নয়। কিছু নাবিক হতাশা প্রকাশ করে বলেন, তারা জানতেন না, জাহাজটি ইসরায়েলি বন্দরের দিকে যাচ্ছে। তারা ফিলিস্তিনি জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেছেন, ভবিষ্যতে তারা এমন যাত্রায় অংশ নেবেন না।
ইয়েমেনের সামরিক বাহিনী জানায়, বারবার সতর্কতা উপেক্ষা করায় ‘ইটারনিটি সি’ জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। ৯ জুলাইয়ের ঘোষণায় বলা হয়, ক্যাপ্টেন কোনো নির্দেশনা মানেননি; ফলে জাহাজটিকে একটি গাইডেড মিসাইল ও একটি মনুষ্যবিহীন জাহাজ দিয়ে আঘাত করা হয়। ইয়েমেনি কর্তৃপক্ষ গত সোমবার আবারও বৈশ্বিক নৌ সংস্থাগুলোর উদ্দেশে সতর্কবার্তা জারি করে বলেছে, ‘কোনো জাহাজ যদি ইসরায়েলি বন্দরে ভিড়তে চায়, তাহলে তা বৈধ লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচিত হবে।’