ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গাজায় মার্কিন নীতি নিয়ে ক্ষেপলেন রিপাবলিকান

গাজায় মার্কিন নীতি নিয়ে ক্ষেপলেন রিপাবলিকান

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য মার্জোরি টেইলর গ্রিন বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার বিষয়ে তিনি আর নীরব থাকবেন না। বিশেষ করে যখন সেই যুদ্ধ পরিচালিত হচ্ছে মার্কিন করদাতাদের অর্থে, এ নিয়ে সরব হওয়া তার দায়িত্ব। রিপাবলিকান এই নারী কংগ্রেস সদস্য তীব্র ভাষায় গাজায় বেসামরিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে সামাজিকমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘ভাবুন, যদি আমেরিকার জনগণের ওপর এভাবে বোমা বর্ষণ হতো, আর তখন সারা বিশ্ব আমাদের দুঃখ-দুর্দশার প্রতি নীরব থাকত এবং কেউ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে না দিত, তাহলে আপনাদের কেমন লাগত? তখন কী করতেন? এটাই আজকের দিনে গাজার মানুষের করুণ বাস্তবতা।’

মার্জোরি টেইলর গ্রিন ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের বিপুল সামরিক ও আর্থিক সহায়তারও কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘শুধু বলা যথেষ্ট নয় যে, আমেরিকা প্রতিবছর ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার ইসরায়েলকে সাহায্য করে। আসল সত্য হলো, এ অর্থ সরাসরি আমেরিকার জনগণের কর থেকে কেটে নেওয়া হয় এবং সামরিক সহায়তা হিসেবে ইসরায়েলের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অর্থাৎ, প্রতিটি মার্কিন করদাতা ওই সামরিক অভিযানের অর্থায়নে প্রত্যক্ষভাবে অংশীদার।’ গ্রিন দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, ‘আমি এই বাস্তবতার সামনে চুপ করে থাকতে চাই না। আমি এমন এক যুদ্ধের খরচ বহন করতে রাজি নই, যার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই এবং যা নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে গণহত্যায় পরিণত হয়েছে।’

একই প্রসঙ্গে কানাডার আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী রানদীপ সারাইও দখলদার ইসরায়েলি নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন।

তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘ইসরায়েল হলো একটি দখলদার শক্তি। গাজার যুদ্ধ অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আমরা কানাডা থেকে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, কারণ গাজার ভয়াবহ পরিস্থিতি প্রতিদিন আরও খারাপ হচ্ছে। ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে বেসামরিক নাগরিক, বিশেষ করে শিশুরা মৃত্যুর মুখে পতিত হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান সংঘাত এবং ইসরায়েলি সামরিক আগ্রাসন গাজার মানুষের জন্য দুর্ভিক্ষকে বাস্তবতায় পরিণত করেছে এবং এই সংকট আরও গভীর হচ্ছে। বিশেষ করে গাজাসিটিতে সামরিক হামলা বৃদ্ধির ফলে বেসামরিক নাগরিকরা ভয়াবহ প্রভাবের শিকার হচ্ছেন। ইসরায়েল একটি দখলদার শক্তি হিসেবে মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি না দিয়ে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি তার বাধ্যবাধকতাকে পুরোপুরি অমান্য করছে।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত