
ভারত যদি জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়, তাহলে নেপালের মতো জেনারেশন জি (জেন-জি) আন্দোলন এখানে?ও শুরু হতে পারে। এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছেন ভারত রাষ্ট্র সমিতির (বিআরএস) নেতা কে টি রামা রাও (কেটিআর)। গত শনিবার এনডিটিভির যুব কনক্লেভে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, নেপালে সম্প্রতি যা ঘটেছে তা আসলে গণতন্ত্র ও জেনারেশন জি-র কণ্ঠ রোধ করারই ফল।
প্রথমে যখন জেন-জি প্রতিবাদ করছিল তখন তাদের নিয়ে মিডিয়াও ঠাট্টা করেছিল। বলেছিল, তারা ইন্টারনেট বন্ধ হওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ। কিন্তু বাস্তবে তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রতিবাদ করছিল। জবাবে তিনি বলেন, যদি সরকার মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে বারবার ব্যর্থ হয়, তাহলে কেন নয়? হ্যাঁ, সম্ভব। যদিও অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেক তরুণ এই প্রশ্নের উত্তরে না বলেন, তখন কেটিআর হেসে বলেন, রাত এখনও অনেক বাকি আছে, দেখা যাক কী হয়। ‘যুবা অ্যান্ড দ্য আর্ট অব রিইনভেনশন’ শীর্ষক সেশনে কে টি রামা রাও বলেন, জেন-জি হলো সাহসী, উদ্ভাবনী ও চঞ্চল। আমি বিশ্বাস করি আমার রাজ্য তেলেঙ্গানাও এক প্রকার জেন-জি রাজ্য। তিনি বলেন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে জেন-জি দারুণভাবে সক্রিয়।
উদাহরণ দিয়ে জানান, হায়দরাবাদে ৪০০ একর বনভূমি বিক্রির সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদ সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা সোচ্চার হয়। এই আন্দোলনের ফলে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করে এবং বনভূমি সংরক্ষিত হয়। তবে কেটিআর বলেন, শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করলেই চলবে না।
জেন-জিকে মুহূর্তটি নিজের করে নিতে হবে। তিনি বলেন, বিশ্ব যখন বয়স্ক হচ্ছে, ভারত তখন আরও তরুণ হচ্ছে। আমাদের কাছে ‘লিপ-ফ্রগিং’-এর বিলাসিতা নেই। আমাদের দরকার ‘পোল-ভল্টিং’। ভারতের দরকার শুধু ভেঞ্চার ক্যাপিটাল নয়, ‘অ্যাডভেঞ্চার ক্যাপিটাল’, অর্থাৎ সাহসী উদ্যোগ।