ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

এবার খৎনা নিয়ে ট্রাম্পের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘উদ্ভট’ মন্তব্য

গবেষণা কী বলছে
এবার খৎনা নিয়ে ট্রাম্পের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘উদ্ভট’ মন্তব্য

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ব্যথানাশক (টাইলেনল) ব্যবহারের বিরুদ্ধে তার প্রচারণা আরও জোরদার করেছেন। তিনি সম্প্রতি নতুন সতর্কবার্তায় দাবি করেন, যেসব ছেলেশিশুর খৎনা করা হয়, তাদের পরবর্তী জীবনে অটিজমে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার বৈঠকে কেনেডি বলেন, ‘দুটি গবেষণায় দেখা গেছে, অল্প বয়সে যেসব ছেলেশিশুর খতনা করা হয়, তাদের অটিজমে আক্রান্তের হার দ্বিগুণ। এর প্রধান কারণ সম্ভবত খতনার পর তাদের শরীরে ব্যথানাশক টাইলেনল দেওয়া হয়।’ এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর কেনেডি ও ট্রাম্প মিলে গর্ভবতী নারীদের টাইলেনল গ্রহণ না করার আহ্বান জানানোর পর বড় পরিসরে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হয়।

তাদের দাবি ছিল, টাইলেনলের সক্রিয় উপাদান অ্যাসিটামিনোফেন অটিজমের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে, যদিও এই ঝুঁকির সপক্ষে কোনো প্রমাণিত তথ্য নেই। এই সুপারিশ এখনও ব্যাপকমাত্রায় বিতর্কিত। টাইলেনল প্রস্তুতকারক সংস্থা কেনভিউ জানিয়েছে, তারা বৈজ্ঞানিক গবেষণাগুলো মূল্যায়ন করছে। তবে তাদের গবেষণা অনুযায়ী, গর্ভাবস্থায় অ্যাসিটামিনোফেন ব্যবহারের সঙ্গে ভ্রূণের প্রত্যাশিত বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কার্যকারণ সম্পর্ক পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, অ্যাসিটামিনোফেন গর্ভবতী নারীদের মধ্যে সাধারণভাবে ব্যবহৃত একটি ব্যথানাশক। ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) এরইমধ্যে গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পর নারীদের আইবুপ্রোফেন ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে। অন্যদিকে গত ৫ সেপ্টেম্বরের বিবৃতিতে সোসাইটি ফর ম্যাটার্নাল-ফিটাল মেডিসিন এবং আমেরিকান কলেজ অব অবস্টেট্রিশিয়ানস অ্যান্ড গাইনোকলজিস্টস উভয় সংস্থা গর্ভাবস্থায় অ্যাসিটামিনোফেন ব্যবহারের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি গর্ভবতী হলে টাইলেনল খাবেন না। আর শিশু জন্মগ্রহণ করলে তাকেও টাইলেনল দেবেন না।’

খৎনার কিছু বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত ইতিবাচক দিক রয়েছে। নিচে প্রধান কিছু উপকার তুলে ধরা হলো : মানুষের শরীরে সংক্রামক রোগ (এসটিআই) কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। আফ্রিকার যান্ডমাইজড ট্রায়ালগুলোর তথ্য দেখায়, খৎনা করা পুরুষদের হিউম্যান ইমিউনডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস (এইচআইভি) সংক্রমণের ঝুঁকি ৫১-৬০% পর্যন্ত কমে যায়। এইচএসভি-২ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। খৎনা করা নবজাতক ছেলেদের প্রথম বছরেই মুত্রনালীর সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি অনেকটা (প্রায় ১০ গুণ) কমে যায়। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, মুত্রনালীর সংক্রমণ হ্রাসে খৎনার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। যদিও পেনাইল ক্যান্সার বিরল, তবে খৎনা সেই ঝুঁকি কমাতে সহায়ক হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত