
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের প্রতি দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমা করে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সোমবার জেরুজালেমে ইসরায়েলি পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে এ আহ্বান জানান ট্রাম্প। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরায়েলে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার কার্যক্রম চলছে।
ট্রাম্প ইসরায়েলের পার্লামেন্টে ঘণ্টা খানেকের বেশি সময় ভাষণ দেন। ভাষণে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমার একটা ভাবনা আছে। প্রেসিডেন্ট, আপনি কেন তাকে (নেতানিয়াহু) ক্ষমা করে দিচ্ছেন না? সিগার আর শ্যাম্পেইন- এসব নিয়ে কারও কি এত মাথাব্যথা আছে?’ ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্ত ফিলিস্তিনিদের বাসে করে নেওয়া হচ্ছে। এ সময় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি তাদের স্বাগত জানান। ১৩ অক্টোবর ২০২৫, খান ইউনিসে নাসের হাসপাতালের বাইরে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে জালিয়াতি, ঘুষ ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগের বিষয়ে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন। যদিও নেতানিয়াহু বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। ২০২০ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখনও মামলাগুলোর রায় হয়নি। গাজায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে এ বিচার প্রক্রিয়া বারবার ব্যাহত হয়েছে। ২০১৯ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছিল। এর একটি ছিল একজন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার ডলার, সিগারেট, শ্যাম্পেইন উপহার নেওয়ার অভিযোগ।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্টের পদটি মূলত আনুষ্ঠানিক। তবে বিশেষ পরিস্থিতি দেখা দিলে অপরাধীকে ক্ষমা করে দেওয়ার ক্ষমতা তার রয়েছে।
২০২০ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এখনও মামলাগুলোর রায় হয়নি। গাজায় দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতিতে এ বিচারপ্রক্রিয়া বারবার ব্যাহত হয়েছে।
গত জুনে ট্রাম্প একবার নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে চলা বিচারপ্রক্রিয়া বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এ বিচার প্রক্রিয়াকে একজন নির্বাচিত দক্ষিণপন্থি নেতাকে উৎখাতের লক্ষ্যে বামপন্থিদের ‘রাজনৈতিক হয়রানির’ ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেছেন নেতানিয়াহু।