ঢাকা ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণক ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা দাবি

মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণক ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা দাবি

সরকারি সুযোগ-সুবিধা লাভের আশায় একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ না করেও মুক্তিযোদ্ধা বনে গেছেন অনেকে। তেমনি মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষে কোন রকমের তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধার সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ, বিজ্ঞান, তথ্য এবং প্রযুক্তি অডিট অধিদপ্তরের সাবেক অডিটর মো. মজিবুর রহমান।

জানা গেছে, মজিবুর রহমান ১৯৭৯ সালের ২ জুলাই জুনিয়র অডিটর পদে ডাক, টেলিযোগাযোগ, বিজ্ঞান, তথ্য এবং প্রযুক্তি অডিট অধিদপ্তরে যোগদান করেন। যোগদানের সময় তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবেদনে উল্লেখ করলেও কোন প্রকার মুক্তিযোদ্ধা সনদ দাখিল করেননি। আর ২০০৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তার চাকরির ৫৭ বছর পূর্তিতে এলপিআর যান। এলপিআর গেলেও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা (ল্যামগ্রান্ট) গ্রহণ করেন তিনি। এলপিআর ভোগকালীন সময়েই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ২০১০ সালের ৭ জানুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ২ বছর চাকরি মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন। সেখানে তার মূল মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট কেন্দ্রীয় সংসদে জমা আছে বলে উল্লেখ করেন। তার চাকরিতে যোগদানকালে চাকরি বইয়ের ৩নং পৃষ্ঠাসহ কোথাও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এবং মুক্তিযোদ্ধার কোটায় যোগদানের বিষয়ে কোন কিছু উল্লেখ নেই।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-৪ অধিশাখা হতে প্রকাশিত পরিপত্র নং- সম(বিধি-৪)-বিবিধ-৩৫/২০০৫-৪৯৩ চাকরি থেকে অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটি ভোগরত মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীগণ বয়স বৃদ্ধির সুবিধা গ্রহণের উদ্দেশ্যে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/দপ্তর/সংস্থায় যোগদানপত্র দাখিল করিবেন।

উক্ত যোগদানপত্র প্রাপ্তির পর প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় উপঅনুচ্ছেদ ১-এর বর্ণিত মতে সার্টিফিকেট-পরিচিতি যাচাই সংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্তির পর বয়স বৃদ্ধির বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীর সার্ভিস রেকর্ড-চাকরি বহিতে লিপিবদ্ধ করিবেন। তার নিকট থেকে কোন সনদপত্র না পাওয়ায় নির্দেশনা মোতাবেক উক্ত কার্যক্রম সম্পাদন করা সম্ভব হয়নি। মজিবুর রহমানের কাছে বারবার মুক্তিযোদ্ধা সনদ চাওয়া হলে দীর্ঘসময় পর্যন্ত তিনি কোন সনদপত্র দাখিল না করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ১৯৭৯ সালের ২ মে মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রাপ্তির একটি আবেদনপত্রের কপি জমা দেন।

সবকিছু মিলে ২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি সিনিয়র সহকারি সচিব আব্দুল লতিফ মোল্লা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রত্যয়নপত্র প্রেরণ করেন। সিনিয়র সচিব স্বাক্ষরিত উক্ত প্রত্যয়নপত্রটি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে স্মারক নং- মুবিম/প্র-৩/বিবিধ-১৩/অভিযোগ/তদন্ত/যাচাইয়ের পর ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি জানানো হয়, এ রকম কোনো প্রত্যয়নপত্র উক্ত মন্ত্রণালয় হতে ইস্যু করা হয়নি এবং জাল প্রত্যয়নপত্র দাখিলকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়। এভাবে তিনি প্রতিবারই মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রদানে ব্যর্থ হয়েছেন। এরপর ২০২০ সালের ২৭ জুলাই মজিবুর রহমানের ঘটনা তদন্তে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি তার বিরুদ্ধে জ্বাল মুক্তিযোদ্ধা সনদের প্রত্যয়নপত্র দাখিল ও বিনা অনুমতিতে সিএজি কার্যালয়ের বাসায় বসবাস বিষয়টি তদন্ত করেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালের ১৮ আগস্টে জ্বাল মুক্তিযোদ্ধা সনদের প্রত্যয়ন দাখিলের কারণে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী ব্যবস্থা গ্রহণের মতামত দেন এবং ২০১০ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হতে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৮ বছর ১ মাস ২৩ দিন অননুমোদিতভাবে বসবাসের জন্য স্ট্যান্ডার্ড রেটে বাসা ভাড়া এবং সরকারি পাওনা আদায় করার পরমর্শ দেন।

পরবর্তীতে মো. মজিবুর রহমান প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১, ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অতিরিক্ত ২ বছর চাকরিকাল গণনাসহ পেনশন সুবিধা প্রাপ্তির জন্য মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৭২, ২০২১)। চাকরিতে প্রবেশের আবেদনের সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবী করার প্রেক্ষিতে তার পক্ষে রায় হয়। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের স্মারক নং-০৩.০৭৭.০১.০৪৬.০০.০১.২০১০-৪৪(১), ২০১১ সালের ৯ মার্চে ক্রমিক নং-১ এর মাধ্যমে বলা হয় মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা সংক্রান্ত যে নির্দেশনা রয়েছে তা বজায় থাকবে, তবে ঘোষণা সংক্রান্ত প্রমাণাদি যাচাই করে নিতে হবে। সর্বশেষে তিনি ২০২৪ সালের ৪ মে আদালতের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে পেনশন সুবিধাদি দাবি করে এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অতিরিক্ত ২ বছর চাকরি গণনা করে তার পিআরএল মঞ্জুরির আবেদন দেন। এ সময় আদালতের আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণার যাচাই ছাড়া এবং কোন প্রকার মুক্তিযোদ্ধা সনদ বা গেজেট ছাড়াই পেনশন কেইসটি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে নতুন করে পিআরএল এর অফিস আদেশ করা হয়। এই প্রেক্ষাপটে পেনশন সুবিধাদিসহ আর্থিক বিষয় নিষ্পত্তিকালে কাগজপত্র যাচাই (বিএসআর রুলস-২.০৪, ২.০৫, ৪.০৪,) ও তার নিকট সরকারি পাওনাদি কর্তন (বিএসআর রুলস-৪.০৫) ও প্রাপ্যতার অর্থ নির্ধারণের প্রয়োজন হয়। মো. মজিবুর রহমান অদ্যাবধি কোন মুক্তিযোদ্ধার সনদ দাখিল করতে না পারায় তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কি না তা যাচাইয়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পত্র নং-৮২,১৫,০০০০.০০১,৪০.০০১.২০.৩৮১, ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রেরণ করা হয়। এছাড়া তার সনদপত্র [৭:২৯ চগ, ১/৯/২০২৫]। তার মুক্তিযোদ্ধা সনদ যাচাইয়ের জন্য ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পত্র প্রেরণ করা হয় পত্র নং ৮২.১৫.০০০০.০০১,৪০,০০১.২০.৩৮১। এর প্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর পত্র প্রেরণ করে, যার পত্র নং-৪৮.০০.০০০০. ০০২.৯৯.০০২.২১.১৮৩৮। সেই পত্রে বলা হয় তার মুক্তিযোদ্ধা সনদের স্বপক্ষে কোন প্রমাণক নাই এবং ওয়েবসাইটে তার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের ৩১ আগস্টের স্মারক নং-৪৮,০০,০০০০.০০২,৯৯.০০৪.১৮.১৯ এর পরিপত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়। এই অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত সমন্বিত তালিকা বা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের প্রকাশিত নাম বৈধ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেচিত হবে। এধরনের বৈধ তালিকায় তার অন্তর্ভুক্তির কোন প্রমাণ দাখিল করেননি। এছাড়াও এসআরও নং-২০০-আইন/২০২০’ এর বিধি ৩ এর (ক), (খ), (গ), (ঘ), (ঙ) তে উল্লেখিত সনদের দ্বারা মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে প্রমাণের কোনো সনদও মজিবুর রহমান কার্যালয়ে জমা দেননি। সম্প্রতি তিনি বাস্তবায়ন মামলা-৬/২০২৪ (মূল প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল মামলা নং-৭১/২০২১) এর মাধ্যমে রায় বাস্তবায়নের জন্য আবেদন করেন।

এ অবস্থায়, তার মুক্তিযোদ্ধার ভারতীয় তালিকা, মুক্তি লাল বার্তা নাম্বার, মুক্তিযোদ্ধা গেজেট, মুক্তিযোদ্ধা বাহিনী গেজেট, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত গেজেট না থাকায় এবং এইচএসসি সনদের রেজিষ্ট্রশন নাম্বারের অসঙ্গতি, ডাক, টেলিযোগাযোগ, বিজ্ঞান, তথ্য এবং প্রযুক্তি অডিট অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চিহ্নিত করায় এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২০২৩ সালের ৩১ আগস্ট প্রকাশিত পরিপত্র (স্মারক নং-৪৮,০০,০০০০.০০২.৯৯.০০৪.১৮.১৯) মোতাবেক শর্তাদি পূরণ না হওয়ায় মজিবুর রহমানের আর্থিক সুবিধাদি প্রদান করা ও তার অতিরিক্ত ২ বছর চাকরি গণনা করে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পেনশন কেইসটি সমাধানে মজিবুর রহমান কর্তৃক প্রয়োজনীয় কাগজাদি অডিট কার্যালয়ে দাখিল না করে কালক্ষেপণ করত। আদালত দ্বারা এ কার্যালয়কে আদালতের আদেশ অবমাননার কূটকৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে পেনশন প্রদানে বিলম্ব ঘটাচ্ছেন।

ডাক, টেলিযোগাযোগ, বিজ্ঞান, তথ্য এবং প্রযুক্তি অডিট অধিদপ্তরে জুনিয়র অডিটর হিসেবে যোগদানের সময় মো. মজিবুর রহমান মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষে কোন প্রমাণক ছাড়াই যোগদান করেন। নিজেকে স্বঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করে প্রতারণার মাধ্যমে অনৈতিকভাবে পেনশন সুবিধা দাবি করেছেন। তিনি জুনিয়র অডিটর পদে ১৯৭৯ সালে যোগদান করার সময় নবনিযুক্ত পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে যোগদান দেখান। কিন্তু এর স্বপক্ষে তিনি কোন সনদপত্র দাখিল করেননি। তার সার্ভিস বইয়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কোথাও উল্লেখ নেই।

নিয়মানুযায়ী ৫৭ বছর পূর্তিতে ২০০৯ সালের ২ জুলাই এলপিআরে যান। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে চাকরি ২ বছর বর্ধিত হওয়ায় তিনি ৫৯ বছর পর্যন্ত চাকরি করার আবেদন করেন। সে সময় অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সনদপত্র দাখিল করার নির্দেশ দেন। তিনি তখন তার সনদপত্র মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সংসদে স্বাক্ষরের জন্য রয়েছে বলে জানান। পরবর্তীতে তিনি মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সংসদের একটি প্রত্যয়নপত্র দাখিল করেন তা যাচাই-বাছাইয়ে প্রমাণ হয় যে, তা প্রকৃত পক্ষে মুক্তিযোদ্ধার কোন সনদপত্র নেই। জুনিয়র অডিটর পদে যোগদানের সময় বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সুপারিশ সংক্রান্ত কোন প্রমাণক তিনি দাখিল করতে পারেননি। এরপর অফিস কর্তৃপক্ষ বারবার তার কাছে মুক্তিযোদ্ধার স্বপক্ষে সনদপত্র চাইলেও তিনি তা দিতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে তার ব্যক্তিগত নথি যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, তার হাতের লেখা প্রথম আবেদনপত্রটি মুক্তিযোদ্ধার সনদ স্বাক্ষরের জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদে জমা দেয়া আছে। আবেদনে নিজে ভিন্ন কালিতে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করে চাকরিতে যোগদান দেখান। কিন্তু ভিন্ন কালির হাতের লেখা ও উপরের হাতের লেখার সাথে গরমিল রয়েছে।

তিনি পরবর্তী সময়ে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অতিরিক্ত ২ বছর চাকরি ও পেনশন সুবিধাদি দাবি করে যান। এ বিষয়ে অফিস কর্তৃপক্ষ তার কাছে মুক্তিযোদ্ধা সনদ চাইলে তিনি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন এবং রায় তার পক্ষে যায়। কারণ ২০১০ সালের ২ জুলাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একটি আদেশবলে যোগদানকালীন সময়ের আবেদনপত্রে নতুনভাবে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা দেওয়ায় রায় তার পক্ষে যায়। এ মামলার প্রেক্ষিতে আদালতে অফিস কর্তৃপক্ষ জবাবসহ কোন কার্যক্রম গ্রহণ না করায় এক তরফা রায় হয়। পরবর্তীতে তিনি ২০২৪ সালের ৪ মে শেষ বারের মত পেনশন সুবিধাদি দাবি করেন। যার প্রেক্ষিতে অফিস কর্তৃপক্ষ তার চাকরিকাল পুননির্ধারণপূর্বক লামগ্রান্টের টাকা সমন্বয় করার পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

কিন্তু এলপিআর যাওয়ার পরেও অতিরিক্ত ৬ বছর সরকারি বাসায় বসবাস করার জন্য তার যে স্টান্ডার্ড রেন্ট এ বাসা ভাড়া নির্ধারণের প্রয়োজন ছিল তা সিএজি অফিসের মাধ্যমে জানানো হয়। সিএজি অফিস তার অতিরিক্ত ২ বছর চাকরি গণনা করে শেষ বেতন নির্ধারণের জন্য কার্যালয়ে পত্র প্রেরণ করে। তার এ জটিল বিষয়গুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য সময়ের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তিনি অফিস কর্তৃপক্ষকে পর্যাপ্ত সময় না দিয়ে সংক্ষুব্ধ হয়ে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন। তার সমস্ত নথিপত্র ও সার্ভিস বই যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, তিনি প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা নন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা দাবি করায় তার পেনশন নিষ্পত্তি সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত