‘আপনার অনুদান, আগামীর বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে ধারণ করে ক্রাউডফান্ডিংয়ের বা গণচাঁদা সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। একটি স্বচ্ছ নীতিমালার মাধ্যমে পরিচালিত হবে দলটির কার্যক্রম। আর বার্ষিক অডিটের মাধ্যমে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে আয়-ব্যয়ের হিসাব। গতকাল বিকালে রাজধানীর বাংলা মোটের দলটির অস্থায়ী কার্যালয়ে আর্থিক নীতিমালা ঘোষণা ও ক্রাউডফান্ডিং কার্যক্রম বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর থেকে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এনসিপিকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে আসছে। যেমনটি করেছিল আন্দোলনে সময়। এরই পরিপ্রেক্ষিতেই অনুদান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আখতার হোসেন বলেন, যারা আর্থিকভাবে আমাদের সহযোগিতা করতে চান, সে বিষয়টি লক্ষ্য রেখে আমরা স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলকভাবে আর্থিক পলিসি করতে চাই। এর মধ্য দিয়ে সংগঠনের আয়, ব্যয়, বরাদ্দ, আয়ের উৎস, ব্যয়ের খাতসহ প্রতিটি বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, গত ৮ মার্চ দলের সংবাদ সম্মেলনে রয়টার্সে প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রজেক্টরে তুলে ধরা হয়, একটি বিপুল জনগোষ্ঠী যখন কোনও ব্যবসা বা উদ্যোগ শুরু করতে তহবিলের জন্য অল্প পরিমাণ করে অর্থ দেয়, সেটি হচ্ছে ক্রাউডফান্ডিং গণতহবিল। গণতহবিল মূলত স্টার্টআপ বা নতুন কোনও ব্যবসা উদ্যোগের জন্য বিকল্প তহবিলের জোগানের একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে মূলত ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে অর্থ সংগ্রহ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে প্রজেক্টরের মাধ্যমে এর কার্যক্রম তুলে ধরে দলের যুগ্ম সদস্য সচিব সাইফ মোস্তাফিজ। এতে জানানো হয়, নির্দষ্টি কেউ বিকাশ বা ব্যাংক অ্যাকউন্ট থেকে এনসিপিকে আর্থিক অনুদান পাঠাতে পারবেন। এখন থেকে দলের নামে কেউ ব্যক্তিগত তহবিলের মাধ্যমে কারও কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। সংবাদ সমমেলনে আরও ছিলেন– এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী।