ব্যবসায়ীদের ওপর করের চাপ বাড়বে বলে মনে করে দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি)। করপোরেট কর বৃদ্ধি এবং লাভণ্ডক্ষতিনির্বিশেষে উৎসে কর বাড়ানোর ফলে তাঁদের ওপর আগামী অর্থবছরে এই চাপ বাড়বে বলে জানিয়েছে আইসিএবি। গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাজেট-পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আইসিএবি। এতে বক্তব্য দেন আইসিএবির সভাপতি মারিয়া হাওলাদার, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশীষ বসু, সাবেক সভাপতি হ?ুমায়ূন কবির প্রমুখ। স্নেহাশীষ মাহমুদ অ্যান্ড কোংয়ের অংশীদার স্নেহাশীষ বড়ুয়া একটি উপস্থাপনা দেন। কারওয়ান বাজারে আইসিএবি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টার্নওভার করের হার বৃদ্ধি করে দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ এবং ব্যক্তিদের জন্য দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ করা করদাতাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
প্রতিষ্ঠানের টার্নওভারের ওপর ন্যূনতম কর করনীতির পরিপন্থী। ব্যবসায় লাভ হলেই শুধু করযোগ্য আয়ের ওপর কর আরোপ করা সমীচীন। তাই এই কর বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে আইসিএবি। আইসিএবি আরও বলছে, পরের দুই বছর করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য খুব একটা স্বস্তিদায়ক হবে না। আগামী অর্থবছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করার পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে আইসিএবি।