ঢাকা বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

তরুণীকে অপহরণ করে এক সপ্তাহ আটকে রেখে ধর্ষণ

তরুণীকে অপহরণ করে এক সপ্তাহ আটকে রেখে ধর্ষণ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের এক তরুণীকে অপহরণের পর সপ্তাহব্যাপী আটক রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার প্রতিবেশী হাসান নামে যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষিত ওই তরুণী গত দুই দিন ধরে সোনারগাঁ থানার ওসি এমএ বারীকে তাকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় মামলা নেয়ার জন্য অনুরোধ করে আসছেন। কিন্তু ওই তরুণীর মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষককে থানায় ধরে এনে ওসি দেড় লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে তাকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে চালান করে দেন বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। এ ব্যাপারে গতকাল রোববার পুলিশ হেডকোয়াটার্সে গিয়ে আইজিপি’স কমপ্লেইন মনিটরিং সেলে সোনারগাঁ থানার ওসির বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে ধর্ষণ মামলার আসামিকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ করেন। অভিযোগপত্রে তিনি লেখেন, তার স্বামী কর্মসূত্রে প্রবাসে (সৌদী আরব) থাকার সুযোগে বিগত ৬ মাস ধরে তাকে নানাভাবে উত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে ইলিয়াসদী গ্রামের মো. শাহাবুদ্দিনের লম্পট ছেলে মো. হাসান। তার এসব কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তরুণীকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল হাসান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৭ জানুয়ারি দুপুরে দড়িকান্দি এলাকা থেকে স্প্রে করে অজ্ঞান করে একটি প্রাইভেট কারে করে অপহরণ করে সাভারের অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায় হাসান। দুই দিন পর আমার জ্ঞান ফিরে আসলে তিনি নিজেকে একটি অন্ধকার ঘরে আবিষ্কার করেন। এ সময় লম্পট হাসান দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে টানা এক সপ্তাহ ধরে অসংখ্যবার ধর্ষণ করে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে গত ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার কৌশলে পালিয়ে এক ব্যক্তির মোবাইল থেকে তার ভাইকে ফোন করেন ধর্ষিতা ওই তরুণী। খবর পেয়ে তার ভাই সাভার থেকে তাকে উদ্ধার করে সোনারগাঁ নিয়ে আসেন। ওই দিনই তিনি পরিবারের অভিভাবকদের নিয়ে থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা করতে যান, কিন্তু সোনারগাঁ থানার ওসি এমএ বারী আমার মামলা না নিয়ে আমাকে একটি অভিযোগ করে যেতে বলেন। ধর্ষিতা জেনেও তিনি তাকে মেডিকেল টেস্টের জন্য হাসপাতালে পাঠাননি, মামলার আবেদনটিও গ্রহণ করেননি। এদিকে, পুলিশ গত শুক্রবার গভীর রাতে অভিযুক্ত হাসানকে সোনারগাঁ ইলিয়াসদী এলাকা থেকে গ্রেফতার করলেও শনিবার সকালে সোনারগাঁ থানায় গিয়ে দেখি ধর্ষণ মামলা না দেয়ার জন্য ওসি এমএ বারীকে দেড় লাখ টাকা (৩টি ৫০ হাজার টাকার বান্ডেল) ঘুষ দিচ্ছে আসামির লোকজন। এসময় আমি ওসিকে আসামি পক্ষের লোকদের বলতে শুনেছি, পুলিশ যখন ধরে এনেছে এমনিতে তো আর ছাড়া যাবে না। আসামিকে আমরা সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে কোর্টে চালান দেব, যাতে আপনারা বিকালের মধ্যেই আসামির জামিন করে বাড়ি নিয়ে আসতে পারেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত