
সিলেটের ভোলাগঞ্জ থেকে লুট হওয়া পাথর আগামী মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে নিজ উদ্যোগে, নিজে খরচে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ সময়ের পর কারো কাছে সাদাপাথর পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম।
এই পাথর উদ্ধার ও প্রতিস্থাপনের কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতার জন্য কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ডিসি সারওয়ার জানান, এখনও কোম্পানীগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলায় কিছু পাথর অনেকে লুকিয়ে রেখেছেন। এসব পাথর উদ্ধারে গতকাল শনিবার এ দুই উপজেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সভা করা হয়েছে। সভাশেষে তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যার মধ্যে রয়েছে- আগামী মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে যাদের কাছে এখনও সাদাপাথর আছে তারা নিজ খরচে, নিজ উদ্যোগে ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর এলাকায় পৌঁছে দেবেন। যেহেতু জনপ্রতিনিধিরা সরকারের অংশ তাই এ পাথর উদ্ধারে তাদেরও দায় রয়েছে। যার যার এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে পাথর ভোলাগঞ্জে পৌঁছানোর বিষয়ে উদ্যোগ নেবেন তারা।
এরইমধ্যে এ দুই উপজেলায় মাইকিং করে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এই সময়ের পর যার কাছে সাদা পাথর পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি নির্ধারিত সময়ের পর যে এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাথর পাওয়া যাবে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান সারওয়ার আলম। তিনি বলেন, এ প্রক্রিয়ার মধ্যেই পাথর লুটের মূলহোতাদের আইনের আওতায় আনার কাজও চলবে।
বিজিবির তদন্ত কমিটি : সিলেটের সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে পাথর লুটপাটের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)। এ ঘটনায় বিজিবির দায়িত্বে কোনও অবহেলা আছে কিনা খতিয়ে দেখতে সদর দফতরের উচ্চ পর্যায়ের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে লালাখাল এলাকা পরিদর্শন শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন বিজিবি ১৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জুবায়ের আনোয়ার।
এ সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সাদাপাথর লুটপাটে জড়িত মহল বিজিবি সম্পর্কে নানা ধরনের অপতথ্য প্রচার করছে। কিন্তু সীমান্ত এলাকায় বিজিবি সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত রেখেছে। এ কারণেই বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন সীমান্তের ৩০০ গজের মধ্যে এলাকাগুলো থেকে পাথর লুটপাট করতে পারেনি দুর্বৃত্তরা। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক লুটপাটের পর বিজিবি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে জনবল বৃদ্ধিসহ গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে। একই সঙ্গে গত দুই মাসে পাথর চুরিতে ব্যবহৃত ৬ শতাধিক বারকি নৌকা জব্দসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।