
জুলাই সনদ চূড়ান্ত না করে এবং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে উপনীত না হয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ঐকমত্য কমিশন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলামোটরে দলটির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঘোষিত নির্বাচনি রোডম্যাপ সম্পর্কে এনসিপি’র প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন। আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, ‘আমরা মনে করি ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা থেকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য নির্বাচন আয়োজন প্রয়োজন, আমরা কোনোভাবেই নির্বাচন বিরোধী নই। সেদিক থেকে রোডম্যাপ ঘোষণা ইতিবাচক। তবে, যত দ্রুত জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি হবে, তত দ্রুত নির্বাচনের দিকে যাওয়া যাবে। সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত না করে নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ ভবিষ্যতে সংকট তৈরি করতে পারে, যার দায় সরকারকেই নিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হাজারও শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা ছিল বিচার ও সংস্কার। সেই লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন সংস্কার কমিশন গঠন করে। যেখানে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো জাতীয় নাগরিক পার্টিও নিজেদের মতামত তুলে ধরে। এই সংস্কার কার্যক্রম চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ঐকমত্য কমিশন প্রণীত জুলাই সনদের খসড়া কিছুদিন আগে আমাদের কাছে এসে পৌঁছায় এবং এ বিষয়ে আমরা আমাদের মতামত তুলে ধরে তা কমিশনের কাছে জমা দিয়েছি। যদিও, জুলাই সনদের খসড়ায় সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সম্পর্কে পরিষ্কার কোনও রোডম্যাপ না থাকা আমাদের হতাশ করেছে।’ এনসিপির এই সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ৬টি উপায় নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে মতামত পাওয়া গেছে। যার মধ্যে আমরা গণপরিষদ নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। অন্যান্য দলের প্রস্তাবে গণভোট ও সংবিধান সংস্কার সভাসহ বিভিন্ন প্রস্তাব রয়েছে। কোন প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন করা হবে, তার সঙ্গে নির্বাচনি প্রস্তুতির সম্পর্ক রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এই আলোচনা চলাকালেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা একপাক্ষিকভাবে নির্বাচনের সময় ঘোষণা আমাদের হতবাক করলেও, বৃহত্তর স্বার্থে আমরা তা মেনে নিয়েছিলাম।