ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

৫১ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত পাঠাতে আরাকান আর্মিকে চাপ প্রয়োগ

বললেন রামু সেক্টর কমান্ডার
৫১ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত পাঠাতে আরাকান আর্মিকে চাপ প্রয়োগ

শূন্যরেখা অতিক্রম করে মিয়ানমারের জলসীমায় ঢুকে পড়ায় আরাকান আর্মি জেলেদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কক্সবাজার রিজিয়নের আওতাধীন রামু সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ।

মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির হাতে বর্তমানে ৫১ জন বাংলাদেশি জেলে ‘জিম্মি’ আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ‘আনঅফিসিয়ালি’ যোগাযোগ করে তাদের (আরাকান আর্মি) ওপর চাপ প্রয়োগ করছি, যেন আর কোনো জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া না হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজিবির রামু সেক্টর দপ্তরে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কর্নেল মহিউদ্দিন মতবিনিময়কালে বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা পুরো সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ এখন মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হাতে। দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ ও সংঘাতময় পরিস্থিতির মধ্যে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি সশস্ত্র গোষ্ঠীও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে সীমান্তে আরাকান আর্মির তৎপরতা বাড়ার কথা জানিয়ে বিজিবির শীর্ষ পর্যায়ের এই কর্মকর্তা বলেন, নাফ নদীর মোহনাসংলগ্ন কয়েকটি এলাকায় ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে কোনো কোনো সময় মিয়ানমার জলসীমার অভ্যন্তর দিয়ে চলাচল করতে হয়। এছাড়া জেলেরা অনেক সময় ভুলবশত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ঢুকে যাওয়ায় আরাকান আর্মির হাতে ধরা পড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

সেক্টর কমান্ডার বলেন, সাগরে মাছ ধরতে গেলে অবশ্যই আন্তর্জাতিকভাবে নির্ধারিত সীমানা মেনে চলতে হবে, এ ব্যাপারে জেলেদের অবশ্যই সচেতন হতে হবে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে সীমান্তে আসা কিছু রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে বাংলাদেশে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আহত ও অসহায় কিছু রোহিঙ্গার অবস্থা দেখে মানবিকতার খাতিরে তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত সুরক্ষায় মাদক ও অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির কঠোর নজরদারি অব্যাহত থাকবে বলে জানান বিজিবির এই কর্মকর্তা। প্রসঙ্গত, রামু সেক্টরের অধীনে বিজিবির ৫ ব্যাটালিয়ন- কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি), নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন (১১ বিজিবি), টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি), রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) ও সর্বশেষ গঠিত উখিয়া ব্যাটালিয়ন (৬৪ বিজিবি) বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত