
দেশের প্রকৌশলীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা ও পেশাগত মর্যাদা রক্ষায় সরকারের কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রমনায় আইইবির সামনে আন্দোলনকারী প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. সাব্বির মোস্তফা খান।
লিখিত বিবৃতিতে সাব্বির মোস্তফা খান বলেন, সম্প্রতি প্রকৌশল পেশাকে ঘিরে একটি মহল ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড, অযৌক্তিক পদক্ষেপ ও বিভ্রান্তিমূলক কার্যক্রম চালাচ্ছে। অথচ জাতীয় উন্নয়ন, অবকাঠামোগত অগ্রগতি, শিল্প ও প্রযুক্তি খাতের জন্য প্রকৌশলীদের নিয়োগ, পদোন্নতি, কর্মস্থলের নিরাপত্তা ও মর্যাদা অপরিহার্য। আইইবির সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৌশলীরা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে দায়িত্ব পালন করে দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তাঁদের অবদান যথাযথভাবে মূল্যায়ন ও সম্মানিত করা সময়ের দাবি।
বিবৃতিতে গত বুধবার প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আক্রমণাত্মক পদক্ষেপে শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আইইবি। তারা বলে, দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাতা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর এ ধরনের আক্রমণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আইইবির পাঁচটি দাবির মধ্যে রয়েছে জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫’র ১০ম গ্রেডসহ সব গ্রেড উন্মুক্ত রাখা, তবে এ ক্ষেত্রে গ্রেডভিত্তিক ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করা যেতে পারে, যাতে যোগ্য ও উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারেন; ৯ম গ্রেডের সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে পদোন্নতির ৩৩ শতাংশের অধিক পদে চলতি দায়িত্ব বা অতিরিক্ত দায়িত্বপালনকারীদের ১০ম গ্রেডে বা নিজ পদে ফিরিয়ে নিয়ে ৬৭ শতাংশের সরাসরি নিয়োগের বিধান সব মন্ত্রণালয় বা দপ্তরে নিশ্চিত করা; ইতিমধ্যে যেসব মন্ত্রণালয় বা দপ্তরে ৯ম গ্রেডের সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে ৩৩ শতাংশের অধিক পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, তাদের ১০ম গ্রেডে বা পূর্বের পদে ফিরিয়ে নিতে হবে অথবা ৩৩ শতাংশের অধিক পদোন্নতিপ্রাপ্তদের আনুপাতিকহারে সমসংখ্যক সহকারী প্রকৌশলী পদ সৃষ্টি করে সরাসরি নিয়োগের ব্যবস্থা করা; সরকারের সব মন্ত্রণালয় বা দপ্তরে ৯ম গ্রেডের বিদ্যমান সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের শূন্য পদসমূহ সংশ্লিষ্ট নিয়োগপ্রক্রিয়ায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূরণ করা এবং জরুরি ভিত্তিতে প্রতিটি মন্ত্রণালয় বা দপ্তরে যৌক্তিক সংখ্যক নতুন প্রকৌশল পদ সৃষ্টি ও দ্রুত নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করা।