
হয়রানিমূলকভাবে বরখাস্ত করা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বরখাস্তের আদেশ আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার না করলে আবারও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে সারা দেশের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান তারা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারের লিখিত আশ্বাসে আরইবি-পিবিএস সিস্টেম সংস্কার আন্দোলন গত ৫ জুন স্থগিত করা হয়। এরপর বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণ অথবা অন্যান্য বিতরণ সংস্থার মতো কোম্পানি গঠনের সুপারিশ প্রণয়ন এবং সব চুক্তিভিত্তিক/অনিয়মিত কর্মীদের নিয়মিতকরণ, মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের স্বপদে পুনর্বহাল, সব সংযুক্ত ও সাময়িক বরখাস্ত করা এবং অন্যায়ভাবে বদলি করাদের পদায়নের লক্ষ্যে আলাদা দুটি কমিটিও গঠন করা হয়।
এর আগে, গত বছরের ২৩ অক্টোবর সরকারের উদ্যোগে বিদ্যমান সংকট নিরসনের জন্য ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মহোদয়ের সভাপতিত্বে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটির প্রতিবেদন তৈরি হলেও কোনও এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে তা আলোর মুখ দেখেনি। দীর্ঘ ৮ মাস পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলন পরবর্তী সময়ে সরকারের নির্দেশনায় প্রতিবেদন জমা হলেও এখন পর্যন্ত জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। এছাড়া গঠিত উচ্চ পর্যায়ের দুটি কমিটির কার্যক্রমের তিন মাস অতিক্রম হলেও সহজে ও স্বল্প সময়ে বাস্তবায়নযোগ্য কোনও বিষয়েরই দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় আবার সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাঝে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
তারা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের লিখিত আশ্বাসের পরও মামলার ক্ষেত্রে কোনও সংবেদনশীলতা না দেখিয়ে বিপরীতে গত ৬ আগস্ট জামিন বাতিল করে এক কর্মকর্তাকে আবআর গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া গত ২৪ জুলাই ১০ কর্মদিবসের মধ্যে লাইনক্রুদের বদলির বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের কমিটির মাধ্যমে ল সুপারিশ করা হলেও এখন পর্যন্ত আরইবি তা বাস্তবায়ন করেনি।