
সাতক্ষীরা সদরে ১১ বছর বয়সী এক শিশুকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ করেছে পরিবার। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কাসেমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত শিশুর নাম মুরছালিন। সে একই এলাকার রাজু আহমেদের ছেলে ও কাসেমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। রাজু আহমেদ জানান, জুমার নামাজ পড়তে যাওয়ার আগে মুরছালিন বাড়ির পাশের একটি পুকুরে গোসল করতে যায়। সেখানে এক প্রতিবেশী কিশোরও (১৬) গোসল করছিল। তারা একটি কলার ভেলায় বসে খেলছিল। নামাজের সময় হয়ে যাচ্ছে জানিয়ে মুরছালিন সেখান থেকে আসতে চাইলে তাকে আটকে রাখে ওই কিশোর। একপর্যায়ে তাকে পানির নিচে চেপে ধরে হত্যা করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই কিশোরকে আটকে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
ওদিকে ওই কিশোরের মায়ের দাবি, সে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। গোসলের সময় কী হয়েছে, তিনি জানেন না। তবে শুনেছেন এক প্রতিবেশীর বাড়িতে তাঁর ছেলেকে আটকে মারপিট করা হচ্ছে। এ জন্য তিনি এগিয়ে গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন তাঁকেও আটকে রেখে মারধর করেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মুরছালিনের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ওই কিশোর ও তাঁর মাকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে মাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মুরছালিনের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।