
রাজহধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল ৫টা ১১ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকা থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে ভারতের আসাম রাজ্যে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুবাইয়াত কবীর বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ৫ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে বলে আমাদের কাছে রেকর্ড আছে।’ তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৯। উৎপত্তিস্থল ভারতের আসাম রাজ্যের উদলগুড়ি থেকে ১৪ কিলোমিটার পূর্বে। এর উৎপত্তি হয়েছে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে।
একই সময়ে ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্তত ছয় দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ইউএসজিএস বলেছে, রোববার মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দেশ। বাংলাদেশ, নেপাল, ভারত, মিয়ানমার, ভুটান ও চীনে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার ভূগর্ভে উৎপত্তি হওয়া এই ভূমিকম্পে ভারতসহ ছয় দেশ কেঁপে উঠেছে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি বেশি গভীরে না হওয়ায় ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলে তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছে।
এদিকে, জার্মানির ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) বলছে, রোববার উত্তর-পূর্ব ভারতে ৫.৭১ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার (৬.২১ মাইল) ভূগর্ভে। তবে এই ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি কিংবা হতাহতের তথ্য পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের সময় আসামের রাজধানী গুয়াহাটির অনেক বাসিন্দা আতঙ্কে বাড়িঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন। সেখানকার স্থানীয় এক বাসিন্দা দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেছেন, ‘মনে হচ্ছিল এই কম্পন কখনও থামবে না।’ আরেক বাসিন্দা বলেন, কিছুক্ষণের জন্য মনে হয়েছিল, আমি মারা যাচ্ছি। ভেবেছিলাম সত্যিই ছাদ ভেঙে পড়বে। আসামের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সানওয়াল এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, আসামে বড় ভূমিকম্প হয়েছে। সবার মঙ্গল কামনা করছি।