ঢাকা শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে তোপের মুখে ডা. সাবরিনা

জিয়াউর রহমানের সমাধিতে তোপের মুখে ডা. সাবরিনা

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন ডা. সাবরিনা। তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ তোলেন নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে তোপের মুখে সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হন তিনি। গতকাল শনিবার জিয়া উদ্যানে এই বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

তাতে দেখা যায়, জিয়াউর রহমানে কবরে শ্রদ্ধা জানাতে নরসিংদী জেলা জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে ডা. সাবরিনাসহ বেশ কয়েকজন অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সভাপতি আকরাম কয়েকজন নেতাকর্মী নিয়ে সেখানে আসেন।

এ সময় ছাত্রদল নেতা আকরাম ডা. সাবরিনার পরিচয় জানতে চান। জবাবে সাবরিনা বলেন, আমি কেন্দ্রীয় কমিটির এক নম্বর সদস্য। এরপর ছাত্রদলের ওই নেতা বলেন, বিএনপি থেকে একটি প্রেস দেওয়া হয়েছে। আপনার তো এখানে আসার কথা না। আপনি আওয়ামী লীগের সময় শেখ হাসিনাকে নিয়ে স্লোগান দিয়েছেন। জবাবে সাবরিনা বলেন, শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমি কখনও কোনো স্লোগান দেইনি। এ সময় ছাত্রদল নেতাদের কাছে স্লোগান দেওয়ার প্রমাণ চান তিনি। একপর্যায়ে আকরাম সাবরিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাকে এখান থেকে চলে যেতে হবে। এতে অসম্মতি জানিয়ে সাবরিনা বলেন, জিয়ার মাজার সবার। এদিকে উপস্থিত কয়েকজন নেতাকর্মী সাবরিনাকে ঘিরে ‘আওয়ামী দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’ এমন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় বেশ কিছুক্ষণ তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তবে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা তার সেখান থেকে চলে যাওয়ার দাবিতে অনড় থাকেন। একপর্যায়ে গাড়িতে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন সাবরিনা। এর আগে গত ২৫ আগস্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেন যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘বিতর্কিত ডাক্তার সাবরিনা করোনার সার্টিফিকেট জালিয়াতি মামলায় অপরাধী। মহিলা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারে যাওয়ার সাহস পেল কোথা থেকে? তাকে যারা নিয়ে গেছে তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’ অভিযোগ রয়েছে, ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অসৎ উদ্দেশ্য এবং কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে জেকেজি হেলথ কেয়ার নামক একটি লাভজনক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পরিচয় ব্যবহার করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও অন্যদের যোগসাজশে অভিজ্ঞতাহীন, নিবন্ধনবিহীন, ট্রেডলাইসেন্সবিহীন তার স্বামী আরিফুল চৌধুরীর ওভাল গ্রুপের নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারকে কোভিড-১৯ এর নমুনা সংগ্রহের জন্য অনুমতি পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন।

২০২২ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন জাল করোনা সনদ দেওয়ার মামলায় সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফুলসহ ছয়জনকে ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। বর্তমানে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে কারামুক্ত আছেন তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত