ঢাকা শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের দাবি আয়ারল্যান্ডের

ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের দাবি আয়ারল্যান্ডের

দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সব সময়ই সরব প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আসছে আয়ারল্যান্ড। জাতীয় দল কিংবা দেশটির কোনো ক্লাবের ফুটবল ম্যাচেও গ্যালারিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে সরব থাকেন দর্শকরা। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ইসরায়েলি ফুটবলকে নিষিদ্ধ করতে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফাকে জোর দিতে যাচ্ছে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন অব আয়ারল্যান্ড (এফএআই)। গত শনিবার আইরিশ গভর্নিং বডির সদস্যরা ইসরায়েল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে উয়েফার দুটি নীতিমালা ভঙ্গের অভিযোগ আনে। তা হচ্ছে-কার্যকর অ্যান্টি-রেসিজম নীতিমালার বাস্তবায়ন করতে না পারা এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে তাদের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অনুমতি ছাড়া ইসরায়েলি ক্লাবের ম্যাচ আয়োজন। আয়ারল্যান্ডের শীর্ষস্থানীয় ক্লাব বোয়েমিয়ান এফসি’র সেই দুটি পয়েন্টের ওপর এফএআই ভোট আয়োজন করে। যেখানে ৭৪টি ভোট এর পক্ষে এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে ৭টি। এর বাইরে দুজন সদস্য অনুপস্থিত ছিল। ভোটে ইসরায়েলি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বিপক্ষে অধিকাংশ মত যাওয়ায় পুনরায় এফএআই তাদের নিষিদ্ধ করতে উয়েফাকে প্রস্তাব দেবে। যদিও বিষয়টি নিয়ে রয়টার্স অগ্রীম উয়েফার মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি।

গত মাসেই উয়েফা ইসরায়েল ফুটবলকে নিষিদ্ধ করতে গণভোটের পথে হাঁটছিল। তবে ১০ অক্টোবর গাজাসহ ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি সমঝোতার পর সেই প্রক্রিয়া থেমে যায়। এর আগে সেপ্টেম্বরে তুরস্ক ও নরওয়ের ফুটবল কর্তৃপক্ষ উয়েফাকে ইসরায়েলি ফুটবলকে প্রতিযোগিতার বাইরে রাখার আহবান জানিয়েছিল। তাদের অনুসরণ করে আয়ারল্যান্ডও। এর আগে অবশ্য জাতিসংঘ থেকে ফিফা এবং উয়েফা উভয় ফুটবল সংস্থার কাছেই ইসরায়েলকে ফুটবল থেকে নিষেধাজ্ঞার আহবান জানানো হয়েছিল।

গাজায় গণহত্যা চালানোর অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছিল ইউএন কমিশন। তবে ইসরায়েল সেই প্রতিবেদন অস্বীকার করে মানহানিকর বলে উল্লেখ করে। আইরিশ ফুটবল কর্তৃপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্তের বিষয়টি উয়েফাকে আসন্ন ৩ ডিসেম্বর ?উয়েফার সভায় জানাতে পারে। বর্তমানে উয়েফার অধীনে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলছে ইসরায়েল। ১৬ নভেম্বর তাদের পরবর্তী ম্যাচের প্রতিপক্ষ মলদোভা। বাছাইয়ের গ্রুপে তাদের অবস্থান তৃতীয়, ২০২৬ বিশ্বকাপে উঠতে হলে শীর্ষে থাকা চাই। ন্যূনতম দুইয়ে থাকতে হবে প্লে-অফ খেলতে হলে। আসন্ন বিশ্বকাপের আগে উয়েফা থেকে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া সম্ভব হবে কি না সেই আলোচনাও রয়েছে। বিশেষত, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র, পরবর্তী বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিয়ে নিশ্চয়ই ট্রাম্পের বিরাগভাজন হতে চাইবেন না। সম্প্রতি ইসরায়েলের ম্যাচে জাতীয় সঙ্গীত চলাকালে প্রতিপক্ষ দর্শকরা শোরগোল তোলায় ইতালি ও নরওয়ের ফুটবলকে জরিমানা করেছে ফিফা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত