ঢাকা শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কলাবাগানে গ্রেপ্তার ১৪ জনের মধ্যে সাতজন কারাগারে

কলাবাগানে গ্রেপ্তার ১৪ জনের মধ্যে সাতজন কারাগারে

রাজধানীর কলাবাগানে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা-লুটের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার ১৪ জনের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালমানসহ সাতজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। অপর সাতজন শিশু হওয়ায় আদালত তাদের গাজীপুরের টঙ্গীতে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। গতকাল শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে পৃথক দুই আবেদনে তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারেক মোহাম্মদ মাসুম। কারাগারে যাওয়া অপর ছয় আসামি হলেন- সাইফুর রহমান রিয়েল খান (২১), সাজিদুল ইসলাম তাহমিদ (২০), শাহাদাত হোসেন (২০), মীর ফাহাদ আহমেদ উৎস (২৫), ছাব্বির আহম্মেদ আবির (১৯) এবং ফারহান (২৫)। এছাড়া অপর সাত শিশু আসামিকে গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। আদালতে কলাবাগান থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, ১৪ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। এদের মধ্যে সাতজন শিশু, অপর সাতজন প্রাপ্তবয়স্ক। সাত শিশুকে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। তাদের বিষয়ে পরে নারী ও শিশু আদালতে শুনানি হবে। অপর সাত আসামির জামিন আবেদন ছিল। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। পুলিশের ভাষ্যমতে, গত শুক্রবার দুপুরে ধানমন্ডির রাসেল স্কয়ারে কাবিকো কনস্ট্রাকশন লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের অফিস সন্দেহে হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এ সময় ৩ লাখ টাকা, চারটি কম্পিউটার লুটসহ অফিসে হামলা ভাঙচুর চালানো হয়। আটকদের কাছ থেকে ৩১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পিয়ন ইয়াসিন মৃধা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ৭ মার্চ পান্থপথের ত্রিধারা টাওয়ারের তৃতীয় তলায় কাবিকো কনস্ট্রাকশনে এজাহারনামীয় সব আসামিসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৫-৭ জন আসামি পরিকল্পিত ও দলবদ্ধভাবে শক্তির মহড়া ও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে জোরপূর্বক অফিস কক্ষে প্রবেশ করে ভাঙচুরে ও লুটতরাজ শুরু করে। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে আসামিরা বলেন, যে তোর মালিক শেখ কবিরকে অফিস চালাতে হলে চাঁদা দিতে হবে। এ সময় বাদী প্রতিবাদ করলে আসামিরা তৎক্ষণাৎ অফিসের চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং অফিসে থাকা চারটি ডেস্কটপ যার মূল্য দুই লাখ টাকা, অফিসের টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে নগদ তিন লাখ টাকা লুট করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। বাদীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে বাদীকে উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত