ইয়েমেনের হুথি আনসার-আল্লাহর নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র বাহিনী লোহিত সাগরে কয়েকটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এবং তেলআবিবের একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে নতুন করে হামলা চালিয়েছে। তিন কোটি ডলার মূল্যের একটি মার্কিন এমকিউ-নাইন ড্রোনও ভূপাতিত করেছেন তারা। বুধবার এক বিবৃতিতে বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানান, তেলআবিবের একটি সামরিক ঘাঁটিতে নতুন করে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে, যার লক্ষ্য সফলভাবে অর্জিত হয়েছে। ইয়েমেনি মুখপাত্র জানান, এছাড়াও ইয়েমেনি বাহিনী উত্তর লোহিত সাগরে অবস্থান করা মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যানসহ শত্রুপক্ষের কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে একাধিক ড্রোন হামলা চালায়।
এই হামলায় লক্ষ্যবস্তুগুলো সুনির্দিষ্টভাবে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এই হামলাগুলো নিপীড়িত ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের সাহসী মুজাহিদিনের প্রতি সংহতি প্রকাশের অংশ এবং গাজায় চলমান গণহত্যার প্রতিক্রিয়া।’ সারি এ সময় জোর দিয়ে বলেন, ‘ইয়েমেন একটি অপরাজেয় জাতি। আমরা আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইদের পাশে দৃঢ়ভাবে থাকব।’ ইয়েমেনি মুখপাত্রের ভাষায়, ‘ইয়েমেন কখনও মার্কিন আগ্রাসনের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না এবং ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ এবং গাজার অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যাবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহর সহায়তায় আমরা লোহিত সাগর ও আরব সাগরে ইসরায়েলি জাহাজ চলাচল বন্ধ করে দেব। একইসঙ্গে মার্কিন শত্রুকে প্রতিহত করব এবং ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে লড়াই চালিয়ে যাব।’
মার্কিন এমকিউ-নাইন ড্রোন ভূপাতিত করার তথ্য জানিয়ে ইয়াহিয়া সারি বলেন, উত্তর ইয়েমেনের আল-জাউফ প্রদেশে শত্রুতামূলক মিশন পরিচালনার সময় ড্রোনটিকে স্থানীয়ভাবে তৈরি সারফেস টু এয়ার মিসাইল দিয়ে ভূপাতিত করা হয়। এর মাধ্যমে ১০ দিনের মধ্যে তৃতীয় এমকিউ-নাইন ড্রোন ভূপাতিত করলেন তারা। ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট ১৮টি এমকিউ-নাইন ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী, যার প্রতিটির মূল্য প্রায় তিন কোটি ডলার। এদিকে, ইয়েমেনের এই পাল্টাহামলার আগে দেশটির আল-মাসিরাহ টিভির খবরে বলা হয়, ইয়েমেনের হোদাইদা বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের এক বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে চারজন শিশু ও দুজন নারী রয়েছেন।
হুথিদের মিসাইল পড়ল সৌদি আরবে
ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র সৌদি আরবে পড়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে আনাদোলু। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলের দিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান জানিয়েছে, বুধবার ইয়েমেন থেকে ইসরায়েল অভিমুখে ওই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়; তবে সেটি সৌদি আরবে নিক্ষিপ্ত হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি। টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথিদের ছোড়া একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যা সম্ভবত ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, তা সৌদি আরবে নিক্ষিপ্ত হওয়ার বিষয়টি শনাক্ত করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। সৌদির মাটিতে পড়ার কারণে ইসরায়েলে এই ঘটনায় সাইরেন বাজানো হয়নি বলে জানায় দৈনিকটি। সৌদি আরবের কোনো কর্মকর্তা বা ইয়েমেনের হুথিদের কেউ এই বিষয়ে মন্তব্য করেননি।
যুদ্ধে নারাজ ৯৭০ ইসরায়েলি সেনা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অভিযান চালাতে রাজি নন বলে জানিয়ে দিয়েছেন ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর ৯৭০ জন পাইলট, কর্মকর্তা ও সৈনিক। এরপর তাদের বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছেন বাহিনীর সিনিয়র কমান্ডাররা। বুধবার ইসরায়েলি দৈনিক হারেৎজের বরাতে মিডল ইস্ট মনিটর জানিয়েছে, সম্প্রতি বিমানবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার বরাবর গাজায় সামরিক অভিযানে আপত্তি এবং এই যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয় এবং সেখানে এই ৯৭০ জনের স্বাক্ষর রয়েছে। স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে নিয়মিত স্টাফদের পাশাপাশি রিজার্ভ পাইলট ও সৈনিকরাও আছেন। হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা অভিযানে যেতে আপত্তি জানিয়েছেন ঠিকই, তবে চিঠিতে কোথাও তারা পদত্যাগের হুমকি দেননি।
সূত্রের বরাত দিয়ে হারেৎজ জানিয়েছে, চিঠিটি পাওয়ার পর এরইমধ্যে অনেক স্বাক্ষরকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বিমানবাহিনীর সিনিয়র কমান্ডাররা। তারা বলেছেন, যেসব স্বাক্ষরকারী তালিকা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করতে রাজি, তারাই কেবল বাহিনীতে থাকবেন। তবে এই হুমকি সফল হয়নি। কারণ, মাত্র ২৫ জন স্বাক্ষরকারী নিজের নাম প্রত্যাহার করতে সম্মত হয়েছেন। স্বাক্ষরকারীদের ভাষ্য, গাজায় সামরিক অভিযান চলছে রাজনৈতিক কারণে। এর সঙ্গে ইসরায়েলের নিরাপত্তার কোনো সম্পর্ক নেই। এদিকে, বহিষ্কারের হুমকির পর কয়েকজন শীর্ষ স্বাক্ষরকারী ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার মেজর জেনারেল তোমার বারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তারা এই হুমকির তীব্র সমালোচনা করেন। সমালোচনার জবাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করে শীর্ষ কমান্ডার বলেন, যারা স্বাক্ষর করেছেন, তারা অভিযানে তাদের দায়িত্ব ঠিকমত পালন করবেন কি না, তা নিয়ে বাহিনী সন্দিহান এবং যদি তারা দায়িত্ব ঠিকমতো পালন না করেন, তাহলে বন্দি মুক্তির বিষয়টি বাধাগ্রস্ত হবে। তোমার বার বলেন, যুদ্ধ চলাকালে এ ধরনের চিঠি ‘বৈধ নয়’। তবে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, শিগগিরই গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিদের ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেবে সরকার।
জুনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স
আগামী জুনে জাতিসংঘের সম্মেলনে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে পারে ফ্রান্স। বুধবার ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স-ফাইভ টেলিভিশনকে এমনটা জানিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো। তিনি বলেন, ?‘আমাদের অবশ্যই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে অগ্রসর হতে হবে এবং এটি আমরা কয়েক মাসের মধ্যেই করব। আমাদের লক্ষ্য হলো- জুনে সৌদি আরবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত নিয়ে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের সম্মেলনে নেতৃত্ব দেওয়া, যেখানে আমরা একাধিক দেশের নেতাদের সঙ্গে বসে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে পারব।’ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি কাউকে খুশি করার জন্য এটি করছি না। আমি এটি করব, কারণ আমি মনে করি, এটিই সঠিক সিদ্ধান্ত।’ ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভারসেন আঘাবেকিয়ান শাহিন এএফপিকে বলেছেন, এই স্বীকৃতি ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার রক্ষা এবং দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সার বলেছেন, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে এভাবে একতরফা স্বীকৃতি দেওয়া মানে হামাসকে শক্তিশালী করা। ফ্রান্স দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনকে আলাদা দুটি রাষ্ট্র করার পক্ষে মত দিয়ে আসছে। তবে তারা বিষয়টিতে এতদিন অনানুষ্ঠানিকভাবেই সমর্থন দিয়ে আসছিল। শেষ পর্যন্ত ফ্রান্স যদি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়, তাহলে এটি হবে তাদের পররাষ্ট্রনীতির বড় পরিবর্তনের বহিঃপ্রকাশ। এ পর্যন্ত জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৪৬ সদস্যরাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ব্রিটিশ সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হামাসের আপিল
একটি অভূতপূর্ব পদক্ষেপে যুক্তরাজ্যে আইনি আপিল দায়ের করেছে হামাস, যেখানে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার ব্রিটিশ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। বুধবার দাখিল করা মামলায় হামাস জানিয়েছে, এটি একটি বৈধ আন্দোলন, যা ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ ও মুক্তির পক্ষে কাজ করছে; এটি সন্ত্রাসী সত্তা নয়। সংগঠনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক প্রধান মুসা আবু মারজুক এই আপিল কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যুক্তরাজ্য হামাসকে এভাবে শ্রেণিভুক্ত করার তীব্র সমালোচনা করে তিনি মনে করিয়ে দেন, এই দলের লক্ষ্য ফিলিস্তিনকে ইসরায়েলি দখল থেকে মুক্ত করা। পশ্চিমা দেশগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হামাসের উদ্দেশ্য নয়। মারজুক জোর দিয়ে বলেন, হামাসের সংগ্রাম জায়নবাদীদের বিরুদ্ধে, যারা ফিলিস্তিনকে নিয়ে ঔপনিবেশিক লক্ষ্য হাতে নিয়েছে। ইহুদি জনগণের ক্ষতি করার কোনো পরিকল্পনা হামাসের নেই। ১৯৮৪ সালে জায়নবাদ ও ইসরায়েলি শাসন প্রতিষ্ঠার প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য যুক্তরাজ্যের নিন্দা করে তিনি দুঃখের সঙ্গে বলেন, এই শাসনব্যবস্থাই এই অঞ্চলে উপনিবেশবাদের উত্তরাধিকার অব্যাহত রেখেছে। বিশ্বব্যাপী মুক্তি সংগ্রামের কথা তুলে করে মারজুক বলেন, হামাস হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস এএনসি এবং আয়ারল্যান্ডের সিন ফেইনের মতো; হামাস তাদের মতো বিদেশি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে একটি বৈধ প্রতিরোধ শক্তির প্রতিনিধিত্ব করছে।
গাজা নিয়ে সৌদি ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তি ও গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার জন্য চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন। স্থানীয় সময় বুধবার ওয়াশিংটনে শীর্ষ এই দুই কূটনীতিকের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, মার্কিন এবং সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বন্দিদের মুক্তি এবং গাজায় একটি টেকসই যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কাজ করার জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা নিয়ে আলোচনা করেছেন। এতে গাজায় হামাসের ক্ষমতাহীনতা ও নিরস্ত্রীকরণের বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া দুই শীর্ষ কূটনীতিক সুদানের যুদ্ধ এবং লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুথি গোষ্ঠীর হামলাসহ অন্যান্য আঞ্চলিক বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা করেন।
গাজায় আবার বিমান হামলা, নিহত ৩৫
গাজার আবাসিক ভবনগুলোতে আবার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজাসিটির শুজাইয়া পাড়ায় আবাসিক ভবনগুলোতে একাধিক ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৫৫ জন আহত হন। ধ্বংসস্তূপের নিচে ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে ফের গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় নতুন করে ইসরায়েলের বিমান হামলায় প্রায় ১৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং তিন হাজার ৭০০ জন আহত হয়েছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে গাজায় হামলা আরও বাড়ানোর হুমকি দেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলি হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৫০ হাজার ৮১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। তবে সরকারি মিডিয়া অফিস নিহতের মোট সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০ বলে জানিয়েছে। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া হাজার হাজার মানুষ এরইমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন বলে মনে করছেন তারা।