ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বিগত সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে

বললেন মঈন খান
বিগত সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকার এ দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, তারা হয়তো জাতিকে মূর্খ করে রাখতে চেয়েছে। অথচ শিক্ষার উন্নয়নে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অসংখ্য অবদান রয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি চালু করেছিলেন। যার সুফল দেশবাসী পেয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)’র সিনেট ভবনে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল ‘শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শিক্ষাদর্শন ও কর্মসূচি’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে। মঈন খান বলেন, দেশ ও মানুষকে স্বনির্ভর করে গড়ে তুলতে জিয়াউর রহমানের ছিল মহান পরিকল্পনা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কথা শুনেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন। কিন্তু তিনি কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেননি। এটিই গণতন্ত্রের নমুনা। তিনি আরও বলেন, অর্থনীতি, শিক্ষা ও রাষ্ট্রনীতিসহ সব ক্ষেত্রেই ছিল জিয়াউর রহমানের নিজস্ব চিন্তা। তিনি গণমুখী শিক্ষা প্রবর্তন করেছিলেন। উৎপাদনমুখী শিক্ষার লক্ষ্যে তিনি নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন। তার শিক্ষা চিন্তা ছিল দূরদর্শী। কিন্তু শেখ হাসিনা ছিলেন তার ব্যতিক্রম। তিনি ছিলেন ফ্যাসিস্ট।

মঈন খান বলেন, জিয়াউর রহমানের শিক্ষাদর্শন ও কর্মসূচি নিয়ে পিএইচডি গবেষণা হতে পারে। তিনি যে শিক্ষানুরাগী ছিলেন সেটি তার হিযবুল বাহারে মেধাবীদের নিয়ে যে সমুদ্র যাত্রায় গিয়েছিলেন, তা প্রমাণ করে।

তিনি আরও বলেন, আমেরিকা কিন্তু অস্ত্রের কারণে শক্তিশালী দেশ হয়নি, তারা মেধার ভিত্তিতে শক্তিশালী। যদি সারা বিশ্বের এক হাজার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা করা হয়, তাহলে সেখানে ৭০-৮০টি বিশ্ববিদ্যালয়ই আমেরিকার। মঈন খান বলেন, শহিদ জিয়া উন্নয়ন আর উৎপাদনের কথা বলতেন। তিনিই প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ নিয়ে চিন্তা করেছিলেন। তিনি বাস্তবমুখী শিক্ষার কথা বলেছিলেন। তার অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দেশের জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। জাতির জীবনে এমন কোনো খাত নেই, যেখানে তার অবদান নেই।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন সত্যিকারের রাষ্ট্রনায়ক। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ছিলেন গণতান্ত্রিক চেতনায় উজ্জীবিত। বিপরীতে আরেক জন সব দল নিষিদ্ধ করে ও চারটি বাদে সব গণমাধ্যম বন্ধ করে বাকশাল করেছিলেন।

সেমিনারে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত