ফেনী জেলার দাগনভূঞা উপজেলায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে মরিচ চাষ করেছেন উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের কৃষক সাইফুল ইসলাম।
মালচিং হলো এমন একটি আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি এই পদ্ধতিতে ফসল চাষাবাদ করলে জনবলসহ উৎপাদন খরচ কম লাগার পাশাপাশি পাওয়া যায় নিরাপদ ফসল। এছাড়া সংরক্ষণ হয় প্রাকৃতিক পরিবেশ। জমিতে রোগবালাই কম হয়। ফলন বেশি ও গাছের জীবন দীর্ঘ হয়। এই পদ্ধতি এলাকায় জনপ্রিয় করতে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
সরেজমিন উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের সাপুয়া এলাকায় কৃষক সাইফুল ইসলামের মরিচের প্লটে দেখা গেছে, মালচিং দেওয়া মরিচের জমিতে কাজ করছে কৃষক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, জমিকে উত্তমরূপে তৈরি করে প্রয়োজনীয় জৈব ও রাসায়নিক সার মিশিয়ে বেড তৈরি করে মালচিং পেপার বিছিয়ে সেখানে নির্দিষ্ট দূরত্ব পরপর ছিদ্র করে চারা রোপণ করেছি। এ পদ্ধতি আমার কাছে নতুন হলেও ফসল অনেক ভালো হয়েছে। নতুন এ পদ্ধতি আমার কাছে বেশ ভালোই মনে হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে চাষ করলে সময় ও খরচ দুটোই কম লাগবে। সহজেই লাভবান হতে পারব। কৃষক সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ১০ শতক জমিতে পরিবেশবান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহার করে উন্নত জাতের কাঁচামরিচ চাষ করি। ভালো ফলন হয়েছে। শুরু থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। খুচরা ১২০ টাকা কেজি দরে ৭২ কেজি বিক্রি করেছি প্রায় ৮ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছে। আশাকরছি আরও প্রায় ৭৫ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারব। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোবারক হোসেন বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে জমি থাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। জমিতে আগাছা জন্মাতে পারে না। সেইসঙ্গে ফসলের রোগবালাই কম হয়। সেচ ও বৃষ্টির অতিরিক্ত পানি জমে ফসল নষ্ট হয় না। সেচের পানি ও সারের অপচয় কম হয়। জমি চাষাবাদে শ্রম কমে যাওয়ায় শ্রমিক কম লাগে। উৎপাদন খরচ কমে যায়। জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পায়। ফলন অনেক বেশি হয়। গাছের আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ায় দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। এতে কৃষক সব দিক থেকে লাভবান হয়। এছাড়াও মালচিং পেপার ব্যবহার করার কারণে সূর্যের তাপ মরিচ গাছের গোড়ায় লাগেনা ফলে গাছ থাকে সতেজ।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. কামরুজ্জামান বলেন, মরিচ একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল। মরিচ মসলা ফসল হিসেবে পরিচিত। বর্ষা মৌসুমে কাঁচা মরিচের দাম ভালো থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।