
সিলেটের বিশ্বনাথের স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া (১৮) হত্যা মামলায় আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছে আদালত। এছাড়া এ মামলায় আরও ১৭ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে সিলেটের সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক সৈয়দা আমিনা ফারহিন এ রায় প্রদান করেন। রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাইফুল ইসলাম, নজমুল ইসলাম, সদরুল ইসলাম, সিরাজ আলম, জামাল আহমদ, শাহিন আহমদ, আব্দুল জলিল ও আনোয়ার হোসেন। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ইলিয়াস হোসেন, আব্দুন নুর, জয়নাল হোসেন, আশিক হোসেন, আছকির আলী, আকবর হোসেন ও ফরিদ আহমদ। আদালতের পিপি কামাল হোসেন জানান, রায়ে ৭ জনের ফাঁসি, ৮ জনের যাবজ্জীবন ছাড়াও ১৭ জনকে দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া আনোয়ার হোসেন পলাতক রয়েছেন। বাকি সব আসামি রায় ঘোষণার সময় এজলাসে ছিলেন। আর প্রধান আসামি সাইফুল প্রায় ৪ বছর ধরে জেল হাজতে রয়েছেন। রায় ঘোষণা শেষে তাদের সবাইকে করাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।এসময় রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্ট বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ মে বিশ্বনাথের চৈতন্যনগর গ্রামের নজির উদ্দিনের খেতের জমি থেকে জোর করে রাস্তায় মাটি তুলতে যান যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল আলম। এসময় তাকে বাধা দেন নজির উদ্দিন, চাচাতো ভাই মানিক মিয়া ও ভাতিজা স্কুলছাত্র সুমেল মিয়া। এতে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সাইফুল আলমের বন্দুকের গুলিতে সুমেল মিয়া নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন সুমেলের বাবা ও চাচাসহ চারজন। নিহত সুমেল শাহজালাল হাইস্কুলের ১০ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ঘটনার পর ৩ এপ্রিল সুমেলের চাচা ইব্রাহিম আলী সিজিল বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিশ্বনাথ থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) কর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩২ জনের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এ মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। মামলায় মোট ২৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন।