
রাজধানীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের পর মহানগর আদালতেও দুই মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম খায়রুল হকের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস ইসলামের আদালতে শাহবাগ থানার মামলা এবং ঢাকার ১৮তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ জাহাঙ্গীর হোসেনের আদালত যাত্রাবাড়ী থানায় মামলার জামিন আবেদন নাকচ হয়।
এর আগে তার আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলা ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় প্রদান ও আদালতের নথিপত্র জালকরণের অভিযোগে শাহবাগ থানার দায়ের করা মামলায় তার জামিন চান। তিনি বলেন, আজ উভয় আদালতে এ দুই মামলায় তার জামিন চেয়েছি। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে গত ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় আবদুল কাইয়ুম আহাদ গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় তার বাবা আলা উদ্দিন গত ৬ জুলাই যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনাসহ ৪৬৭ জনকে আসামি করা হয়।
শাহবাগ থানার মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিচারপতি খায়রুল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় প্রভাবিত হয়ে এবং তার অবসর-পরবর্তী ভালো পদায়নের লোভের বশবর্তী হয়ে দুর্নীতিমূলকভাবে শেখ হাসিনাকে খুশি করার অভিপ্রায়ে ২০১১ সালের ১০ মে সংক্ষিপ্ত আদেশটি পরিবর্তন করে বেআইনিভাবে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন।
ওই ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এবিএম খায়রুল হকসহ অন্যান্য আসামির বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেন। মামলায় দণ্ডবিধির ২১৯ ও ৪৬৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে যাত্রাবাড়ী থানার আব্দুল আহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ওইদিন রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ৩০ জুলাই শাহবাগ থানার রায় জালিয়াতি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩১ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়ার আদালত তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।