ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ট্রাম্পের শান্তির আহ্বান ‘যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের পরিপন্থি’: ইরান

ট্রাম্পের শান্তির আহ্বান ‘যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের পরিপন্থি’: ইরান

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘শান্তি চুক্তির আহ্বান’ যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, গত জুনে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্পের এই বক্তব্যকে ভণ্ডামি ছাড়া কিছু বলা যায় না। গতকাল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট শান্তি ও সংলাপের যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তা ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের বৈরী ও অপরাধমূলক আচরণের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’ গত জুনের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েল ইরানে নজিরবিহীন বিমান হামলা চালায়। এতে পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকাও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। ওই হামলায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হন।

ইসরায়েলের সঙ্গে টানা ১২ দিনের যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যার ফলে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে চলমান উচ্চপর্যায়ের পরমাণু আলোচনা ভেস্তে যায়। এর জবাবে ইরান ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়, যাতে ইসরায়েলে বহু মানুষ নিহত হয়। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয় ২৪ জুন থেকে। এর মধ্যেই গত সোমবার ইসরায়েলের সংসদ নেসেটে দেওয়া এক ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি ইরানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করতে চান এবং এ বিষয়ে এখন সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব তেহরানের।

ইরান তার প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্পের এই আহ্বান সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যে দেশ রাজনৈতিক আলোচনার মাঝখানে অন্য দেশের আবাসিক এলাকা ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, এক হাজারের বেশি নিরীহ নারী ও শিশুকে হত্যা করে- সেই দেশ কীভাবে শান্তি ও বন্ধুত্বের দাবি তোলে?’ ভাষণে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ইরানের নেতারা যদি প্রতিবেশীদের হুমকি দেওয়া বন্ধ করে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অর্থায়ন থামায় এবং ইসরায়েলের অস্তিত্বের অধিকার স্বীকার করে- তাহলে এ অঞ্চলের জন্য এর চেয়ে বড় কল্যাণ আর কিছু হবে না।’ জবাবে তেহরান এসব মন্তব্যকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন ও লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘বিশ্বে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানো ও গণহত্যাকারী জায়নিস্ট শাসনের প্রধান মদদদাতা’ বলে অভিযুক্ত করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘অন্যদের অভিযুক্ত করার কোনো নৈতিক অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের নেই।’

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত