ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

শাহজালালের পাঁচ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

শাহজালালের পাঁচ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এডিসি’র পাঁচ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। কাজ করিয়ে পাওনা পরিশোধ না করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি আদালত এই আদেশ দেন। নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কর্মকর্তারা হলেন- কিউংজু কাং, ইয়ংকওয়ান চোই ও জুয়োক ইয়াং, হিসোক কিম ও সায়েম চৌধুরী। এরে আগে, জামিন নিয়ে পলাতক থাকায় কিউংজু কাং, ইয়ংকওয়ান চোই ও জুয়োক ইয়াংর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। আর পলাতক রয়েছেন হিসোক কিম ও সায়েম চৌধুরী। গত বছর দায়ের করা এই মামলায় চলতি বছরের ১১ আগস্ট আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

প্লিয়াডিস কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড কনসাল্টিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জুবায়ের আখতার চৌধুরী ঢাকা মহানগর আদালতে এই মামলা করেন।

এক বছর আগে করা মামলায় জুবায়েরের দাবি- তাদের প্রতিষ্ঠানকে এডিসি সাব-কন্ট্রাক্টে কাজ করালেও চুক্তিমতো অর্থ পরিশোধ করেনি। দীর্ঘদিন ধরে অর্থ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তিনি মামলা করেন। তিনি বলেন, “আজ (গতকাল) তাদের আদালতে হাজির হওয়ার দিন ছিল। কিন্তু তারা হাজির হননি। আদালত তাদের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।”

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই সৌরভ দে সরকার বলেন, “এই মামলায় পরোয়ানাভুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার তিন কর্মকর্তা এখনও জামিন নেননি। আমরা গ্রেফতারের জন্য খুঁজছি। তারা আত্নগোপনে রয়েছেন।”

পিবিআই জানায়, চুক্তি অনুযায়ী কাজ করিয়ে এডিসি পাওনা টাকা পরিশোধ করেনি। প্লিয়াডিসের দাবি অনুযায়ী, সম্পাদিত কাজের বিপরীতে তাদের পাওনা ৯০ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে পাওনা অর্থ আটকে রেখে বিদেশি কর্মকর্তারা দেশ-বিদেশে প্রকল্প সংক্রান্ত বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন।

জুবায়ের আক্তার চৌধুরী আরও বলেন, তার সঙ্গে চুক্তির বরখেলাপ করা হয়েছে। চুক্তির বাইরেও অতিরিক্ত কাজ করানো হয়েছে। এসব কাজ বাবদ প্রায় ৯০ কোটি টাকার পাওনা অপরিশোধিত রয়েছে। যার মধ্যে মূল কাজের পাওনা এবং অতিরিক্ত সময় কাজ করানোর খরচ অন্তর্ভুক্ত। এ বকেয়া দিতে টালবাহানা করায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। বকেয়া বিল আদায়ের জন্য সিএমএম কোর্টে দুটি মামলা করেন বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত