
ফেসবুকে আয় করা এখন অনেকের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ছোট একটি ভুলে হারিয়ে যেতে পারে আপনার মনিটাইজেশন সুবিধা। কনটেন্ট নীতিমালা থেকে শুরু করে কপিরাইট, স্প্যাম বা মৌলিকতার অভাব, যে কোনো কারণে ফেসবুক আপনার পেইজ বা প্রোফাইলের আয় বন্ধ করে দিতে পারে। তাই মনিটাইজেশন টিকিয়ে রাখতে নিয়ম জানাটা জরুরি।
মনিটাইজেশন হারানোর কারণ : ফেসবুকের কমিউনিটি নীতিমালা যেভাবে কন্টেন্ট সুরক্ষিত রাখে, ঠিক তেমনভাবেই ভুল হলে কঠোর শাস্তি দেয়। অনেক সময় সঠিক ধারণা না থাকায় ব্যবহারকারীরা অজান্তেই এমন ভুল করে ফেলেন, যার ফলে আয় বন্ধ হয়ে যায়।
কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘন : সহিংসতা, ঘৃণা ছড়ানো, বর্ণবাদী বক্তব্য বা যৌন উত্তেজক ছবি এবং ভিডিও আপলোড করা সরাসরি নীতিমালা লঙ্ঘন হিসেবে গণ্য হয়। একইভাবে মারামারি, দুর্ঘটনা বা খুনের মতো সংবেদনশীল দৃশ্য দেখালেও মনিটাইজেশন ঝুঁকিতে পড়ে।
কপিরাইট সমস্যা : অন্যের ভিডিও, ছবি বা গান অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করলে কপিরাইট লঙ্ঘন হয়। অন্যের তৈরি কনটেন্ট নিজের নামে চালানো বা সামান্য পরিবর্তন করে পুনরায় আপলোড করা আপনার পেইজের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করে এবং মনিটাইজেশন স্থগিত হতে পারে।
স্প্যাম বা প্রতারণামূলক কনটেন্ট : অতিরিক্ত হ্যাশট্যাগ, অপ্রাসঙ্গিক ক্যাপশন, বিভ্রান্তিকর কনটেন্ট বা ক্লিকবেট ব্যবহার করলে তা স্প্যাম হিসেবে ধরা হয়। ভুয়া লাইক বা ফলোয়ার কেনা এবং বট ব্যবহার করাও মনিটাইজেশন হারানোর অন্যতম কারণ।
মৌলিক কনটেন্টের ঘাটতি : ফেসবুক মৌলিক কনটেন্টকে গুরুত্ব দেয়। অন্যের ভিডিও এডিট করে নিজের নামে প্রকাশ করা বা একই ধরনের কনটেন্ট বারবার আপলোড করলে আয় নষ্ট হতে পারে।
ভিডিওর দৈর্ঘ্যসংক্রান্ত সমস্যা : রিলস বা শর্ট ভিডিও যদি ১৫ সেকেন্ডের কম হয়, সেগুলো বেশিরভাগ সময় মনিটাইজেশনযোগ্য থাকে না। এ কারণে অনেক নির্মাতা অজান্তেই নিয়ম ভঙ্গ করেন।
কীভাবে সমস্যার সমাধান করবেন : মনিটাইজেশন স্থগিত হওয়ার পর হতাশ না হয়ে কারণ খুঁজে বের করা সবচেয়ে জরুরি। ফেসবুক সাধারণত ইমেইলে কারণ জানায়। সেখান থেকে নীতিগত ভুল চিহ্নিত করে আপিল করা যায়।
সঠিক কনটেন্ট তৈরি, নীতিমালা অনুযায়ী চলা এবং সম্পূর্ণ মৌলিক ভিডিও প্রকাশ করা মনিটাইজেশন ধরে রাখার সেরা উপায়। নিয়ম মেনে কাজ করলে ফেসবুকের আয় দীর্ঘমেয়াদে স্থায়ী ও ঝামেলামুক্ত থাকে।